উল্লেখযোগ্য খবর
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

বলদ কারা!

এই যে ভদ্রলোক, আমি বলদ, আপনিও কি বলদ?

“ঈশ্বর মাইকেলকে (ফেরেশতা মিকাইল) ডেকে বললেন, আদমের বাচ্চাদের মধ্য থেকে বলদদের বেছে বেছে খুঁজে বের করে আনো”

মাইকেল বলল, প্রভু তারা কারা?

ঈশ্বর বললেন প্রতি হাজারে ৯৯৮ জন

হ্যাঁ ৭৫০ কোটি মানুষের মধ্যে দেড় কোটি ইহুদী, পাঁচশতে ১ জন আর প্রতি হাজারে ২ জন, বাকি ৯৯৮ জন অ-ইহুদী হচ্ছে বলদ।

বলদের মধ্যে গ্রেডিং আছে খালি।

কেউ এ গ্রেডের বলদ আর কেউ কেউ একেবারে এফ গ্রেডের বলদ।

থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে এই এফ গ্রেডের বলদ বেশি পাওয়া যায়।

এই বলদদের নিয়ে ইচ্ছা মত খেলতেছে জায়নিস্টরা।

জায়নিস্টদের পাঁচটা মিডিয়া পলিসি শতভাগ সফল এই দেশে।

এই মিডিয়া পলিসি গুলো গ্লোবালি এপ্লাই করে তারা।

এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হচ্ছে ধর্ম এবং রাজনীতির বিরুদ্ধে নিরন্তর নেতিবাচক প্রচারণা আর খেলা এবং বিনোদনের পক্ষে মাত্রাতিরিক্ত ইতিবাচক প্রচারণা। ধর্ম মানুষকে ভোগবাদী সংস্কৃতির বদলে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত করে, আর রাজনীতি সচেতনতা (রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি নয়) সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তৈরি করে। সত্যিকারের দেশপ্রেম আর ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হলে Capitalism মার খেয়ে যায়, কর্পোরেট পলিসি মার খেয়ে যায়।

অন্য চারটা হচ্ছে

একঃ ক্রমাগত নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে আসা – ইস্যুর চাপে পত্রপত্রিকার কাটতি বাড়ানো এবং মানুষের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে দেওয়া। একের পর এক অপ্রয়োজনীয় ইস্যু নিয়ে মানুষকে মূল বিষয় থেকে ডি ফোকাস করে দেওয়া।

দুইঃ যেকোন ইস্যুর পক্ষে – বিপক্ষে সমালোচনার মাধ্যমে গণমনকে বিভ্রান্ত করা।যেকোন বিষয়ের পক্ষে এবং বিপক্ষে এত বেশি প্রচার প্রচারণা চালানো যেন মতবাদের দ্বন্দ্বে নন জায়নিস্টদের মাথা ঘুরপাক খেতে থাকে এবং এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা যে পরিবেশে কোন ব্যক্তিই (বা অন্তত অধিকাংশ ব্যক্তি) যেন যেকোন ইস্যুতে তার সঠিক করণীয় নির্ধারণ করতে না পারে।

তিনঃ মানব মনের সকল উদ্যোগ, উৎসাহ, এক্টিভিজমকে নিরর্থক আর অকল্যাণজনক সংগ্রামে অপচয় করে দেওয়া।

এবং চার ও সর্বশেষ হচ্ছে – প্রতিরোধ প্রবৃত্তি পূরণের জন্য যুব সমাজের মননকে সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে বিরত রেখে হালকা বিষয়ের দিকে ফিরিয়ে রাখা।
যেমন এই মুহূর্তে দেশের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলি হচ্ছে
বেকারত্ব,
খাদ্যে ভেজাল,
পরিবেশ দূষণ,
প্রশ্নফাঁস এবং শিক্ষার যাচ্ছেতাই মান,
বিভিন্ন সেক্টরে সাগর চুরি-সম দুর্নীতি
অসহনীয় আর মাত্রাতিরিক্ত যানজট…… এগুলি।

কিন্তু মিডিয়া এগুলিকে ৫০% হাইলাইটস করে ২০০% হাইলাইট করবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে।
বিশ্বকাপের জার্সি পাকিস্তানের মত হল না আয়ারল্যান্ডের মত হল,
এতে করে চেতনার কট্টুক ক্ষতি হল আর চেতনা কট্টুক খাড়া হল,
ম্যাককালাম বাংলাদেশকে নিয়ে কী বলেছেন,
কে রোজা রেখে খেলেছে আর কে রাখে নি – এগুলি মিডিয়ার কাছে হট টপিক এবং সেভাবেই তারা এগুলিকে প্রেজেন্ট করে।
এসব ফালতু ইস্যুর সাথে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্যের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই।
কিন্তু মিডিয়া বিষয়টাকে এত হাইলাইটস করবে যে তামাম তাগড়া মেধাবী জোয়ান এটার পেছনেই লেগে থাকবে আর তাদের আসল করণীয় ভুলে যাবে।

এর অন্যতম একটি টার্গেট হচ্ছে বিজনেস।

কর্পোরেট বিজনেস পলিসি হচ্ছে যেই জিনিসের আদৌ কোন ডিমান্ড নেই – সেটার আর্টিফিশিয়াল ডিমান্ড তৈরি করা, যেই জিনিস অপরিহার্য নয়, nice to have, সেটাকে must to have এ কনভার্ট করা

উদাহরণ স্বরূপ – পান্তা ইলিশের সংস্কৃতির কথা বলা যায়।

বৈশাখ মাসের এক তারিখ বা আশপাশের সময়টা ইলিশের প্রজনন মৌসুম।

ইলিশ খাবার সময় এইটা না।

কিন্তু কর্পোরেটরা প্রচার যন্ত্র দিয়ে নিরন্তর প্রোপাগান্ডা চালিয়ে পান্তা ইলিশের আর্টিফিশিয়াল নীড তৈরি করেছে।

পয়লা বৈশাখে নতুন জামা অপরিহার্য না।

বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ মানুষ এইটা এফর্ড করতে পারবে না।

কিন্তু কর্পোরেটসরা প্রচার যন্ত্র দিয়ে নিরন্তর প্রোপাগান্ডা চালিয়ে এই জিনিসগুলোকে অপরিহার্য অনুষঙ্গ বানিয়ে দিয়েছে।

এক একটা পয়লা বৈশাখে কম করে হলেও ছয় হাজার কোটি টাকার ব্যবসা।

একই কাজ করছে ক্রিকেট নিয়ে।

কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, জুয়া আর কালোবাজারী।

এই ব্যবসাতে যেন কেউ বাম হাত না দেয়, সাধারণ মানুষের কুনজর যেন না লাগে সেই জন্য ক্রিকেট নামক নিখাদ-বিনোদনের ধুতির উপর দেশপ্রেম আর উৎকট জাতীয়তাবাদের আলখেল্লা পরিয়েছে।

আর বাংলার তামাম মেধাবী ?দেশপ্রেমিক বংগসন্তান এখন দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে খেলা দেখে, যেটা নাকি পুরা জাতিকে এক করে দেয়।

ভন্ডামি আর কাহাকে বলে।

যার সময় আছে সে খেলা দেখুক, আপত্তি নেই, কিন্তু খেলার উপর দেশপ্রেমের আলখেল্লা জড়িয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে এর ইকোনোমিক ইম্পরট্যান্সের কথা যারা বলছে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ক্রিকেটের ভূমিকা নিয়ে বিশাল লেকচার যারা দিচ্ছে – এরাই আসলেই এফ গ্রেডের বলদ।

প্রমাণ দিচ্ছি।
পৃথিবীতে ইহুদী জাতির লোকসংখ্যা দেড় কোটির কিছু কম বা বেশি।
একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র – ইসরাইল
ইসরাইলের ইহুদী জনসংখ্যা ৫৪ লাখ মাত্র
অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।
আমেরিকাতে ইহুদীদের সংখ্যা ৭০ লাখ, কানাডাতে চার লাখ, ব্রিটেনে ৩ লাখ।
ইহুদীরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, তারা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%।
অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদী।

ইহুদীদের অর্জন
জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি। প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।
বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পি হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে। আর আছে, মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড।
লেখকদের মধ্যে আর্থার মিলার, ফ্রানজ কাফকা, জন ষ্টাইনব্যাক যেমন এসেছেন তেমনি এসেছেন সাইন্স ফিকশান জগতের সবচেয়ে আলোচিত লেখক আইজাক আসিমভ।
মিউজিকে ইহুদি মেনুহিনের অসাধারণ ভায়োলিনের পাশাপাশি রিঙ্গো ষ্টার, মার্ক নাফলারের মতো বাদক যেমন এসেছেন তেমনি বব ডিলান, বব মার্লির মতো গায়কও এসেছেন।
এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয় আর প্রফেসর নোয়াম চমস্কি – র মত শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটির ও বেশি।

শিক্ষাক্ষেত্রে
আমেরিকান ইহুদীদের ৮৫% বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া। আর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন ওআইসি-র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মত, আর এক আমেরিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রায় ছয় হাজার। ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয় ও যেখানে The World University Ranking সইট এর প্রথম ১০০টা বিশ্ব বিদ্যালয়েরর মধ্যে স্থান পায় নি, সেখানে প্রথম ১০০ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫টাই হচ্ছে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় (প্রথম দশটার মধ্যে সাতটা)
প্রথম ১০০ র মধ্যে ওআইসি-ভুক্ত ৫৭ টি দেশের একটি ও তো নেই, এমনকি প্রথম ২০০ তে মাত্র একটি। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ র্যা ঙ্কধারী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের Bogazici University (১৯৯ তম)
সেই আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ২০% স্টুডেন্টস ইহুদী সম্প্রদায় থেকে আসা।
আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদী
নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদী
আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসররা ইহুদী
আমেরিকার উত্তর পূর্ব উপকূলের ১২ টি বিখ্যাত বিশ্ব বিদ্যালয়কে এক সাথে আইভি লীগ বলা হয়।
২০০৯ সালে সেই সময়ের জরিপে দেখা গেছে – তখন কর্মরত সবকটি আইভি লীগ ইউনিভার্সিটির সব ক’জন চ্যান্সেলর ই ইহুদী।

রাজনীতিতে
ইহুদীরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন ইহুদী।
এর চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল ইহুদীদের সমর্থন ব্যতীত কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা, কোন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেনা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতখানি- আমেরিকান রাজনীতিতে ইহুদীদের প্রভাব তার চেয়ে ও অনেক বেশি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী ফাণ্ড বা তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না, ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফাণ্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs Committee.

অর্থনীতিতে
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদীদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদাকে হাতে না-রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিইনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসেডেন্টের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে, এবং প্রেসিডেন্টকে সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদী কমিউনিটির মানুষ।
এ কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জুইশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জুইশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নেয়াররা মিলিতভাবে যে-কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন। সেটা হতে পারে অর্থে, অস্ত্রে কিংবা মিডিয়ায়।

মিডিয়া জগতে
At a glance
CNN, AOL, HBO, Cartoon Network, New line cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People – Gerald Levin – ইহুদী

ABC, Disney Channel, ESPN, Touchstone pictures – Michael Eisner – ইহুদী

Fox Network, National Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদী
Owner of 175 Newspapers
Steven Spielberg the great movie producer of Hollywood, is a Jewish
Pulitzer laureate the famous writer – John Steinbeck

Top 4 famous Newspapers of USA & their editors
New York Times – Arthur Sulzberger

New York Post – Rupert Murdoch

Washington Post – K.M. Graham

Wall street journal – Robert Thomson

Red alert: All are Jewish

Face book – founded by Mark Zuckerberg – Is a Jewish

মনস্তাত্বিক আধিপত্যে ইহুদীদের অর্জন
বিশ্বের এবং বিশেষ করে আমেরিকার জনগনের মূল নিয়ন্ত্রক মিডিয়া। তারা টিভি দেখে, মুভি দেখে, অনলাইনে কিছু নির্দিষ্ট সাইট দেখে এবং পেপার পড়ে। স্কলারদের বাদ দিলে সাধারণ আমেরিকানদের মন এবং মনন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে মিডিয়া, বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলো।
আমেরিকার অন্যতম বড় মিডিয়া গ্রুপের নাম টাইম-ওয়ার্নার। এ গ্রুপের অধীনে পত্রিকা, অনলাইন বিজনেস, মুভি প্রডাকশন হাউজ এবং টিভি চ্যানেল সবই আছে। প্রায় ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন ইহুদি এবং বর্তমান চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার বা সিইও জেরাল্ড লেভিন-সহ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পদই ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণে।
টাইম ওয়ার্নারের আরেক প্রতিষ্ঠান আমেরিকা অনলাইন (AOL)। এই প্রতিষ্ঠানটি ৩৪ মিলিয়ন আমেরিকান সাবস্ক্রাইভার (Subscriber) নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে পরিচিত। টিনএজার, নারী ও শিশুদের টার্গেট করে নামা এওএল (AOL) এখন জুইশ কমিউনিটির প্ল্যাটফরমে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে ৭০ মিলিয়ন দর্শকের চ্যানেল CNN নব্বই এর দশকে ইরাক ওয়ার কাভার করে আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এর মালিক টেড টার্নার বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেলেও এক পর্যায়ে চ্যানেলটি চালাতে ব্যর্থ হয়ে আত্মসমর্পণ করেন টাইম ওয়ার্নার গ্রুপের কাছে। তিনি নামে থাকলেও মূল ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছে টাইম ওয়ার্নার।
আমেরিকার সবচেয়ে বড় পে-টিভি চ্যানেলের নাম এইচবিও (HBO), যা বাংলাদেশেও খুবই জনপ্রিয়। আমেরিকায় এর দর্শক ২৬ মিলিয়ন।
HBO চ্যানেলটি টাইম ওয়ার্নার-এর অর্থাৎ পুরোপুরি ইহুদি নিয়ন্ত্রিত এবং এর কথিত প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে পরিচিত CINEMAX আরেকটি টাইম ওয়ার্নারের অঙ্গ সংগঠন।
আমেরিকার সবচেয়ে বড় মিউজিক রেকর্ড কোম্পানি পলিগ্রাম মিউজিকও তাদের দখলে।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ম্যাগাজিনের নাম এলে প্রথমেই উচ্চারিত হয় যে নামটি তা হলো টাইম। এই পত্রিকাসহ টাইম ওয়ার্নার গ্রুপে আছে লাইফ, স্পোর্টস ইলাসট্রেটেড, পিপল – এর মতো বিশ্বনন্দিত পত্রিকাসহ ৫০ টি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন। টাইমসহ এ-ম্যাগাজিনগুলোর মাথার উপরে বসে এডিটর ইন চীফ হিসেবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন নরম্যান পার্লষ্টাইন। যিনি একজন ইহুদি।

বিশ্বজুড়ে শিশুকিশোরদের মনে রঙিন স্বপ্ন তৈরি করে যে প্রতিষ্ঠানটি তার নাম ওয়াল্ট ডিজনি কম্পানি। এই কম্পানির ওয়াল্ট ডিজনি টেলিভিশন, টাচষ্টোন টেলিভিশান, বুয়েনা ভিসটা (Buena Vista) টেলিভিশনের আছে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন নিয়মিত দর্শক। সিনেমা তৈরিতে কাজ করছে ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স, টাচষ্টোন পিকচার্স, হলিউড পিকচার্স, ক্যারাভান পিকচার্সসহ আরো অনেক কিছু। ইনডিপেনডেন্ট মুভি তৈরিতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান Miramax Films-ও কিনে নিয়েছে ডিজনি। বিকল্প ধারার মুভি তৈরিতে Miramax অত্যন্ত জনপ্রিয়। ওয়াল্ট ডিজনি কম্পানির বর্তমান সিইও একজন ইহুদি। তার নাম মাইকেল আইসনার।
আমেরিকার আরেকটি প্রভাবশালী মিডিয়া গ্রুপের নাম ভিয়াকম (Viacom)। এর প্রধান সুমনার রেডষ্টোন-সহ বড়বড় অধিকাংশ পদেই আছেন ইহুদিরা। জনপ্রিয় সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্কসহ ৩৯টি টেলিভিশন ষ্টেশন, ২০০টি সহযোগী ষ্টেশন, ১৮৫টি রেডিও ষ্টেশন, সিনেমা তৈরির বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট পিকচার্স, – তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। ভিয়াকমের আর এক ইহুদি কো-প্রেসিডেন্ট টম ফ্রেসটন-এর নিয়ন্ত্রণে আছে মিউজিক চ্যানেল এমটিভি। মুভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল মিলে গিয়েছে এনবিসি গ্রুপের সঙ্গে। এনবিসি খুবই প্রভাবশালী টিভি চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এদের মূল সংগঠন সিগ্রাম (Seagram) সহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন ইহুদি মিডিয়া মুগল এডগার ব্রনফম্যান জুনিয়র। তার বাবা এডগার ব্রনফম্যান সিনিয়র হলেন ওয়ার্ল্ড জুইশ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট।

ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকার আগ্রাসনকে আমেরিকানদের কাছে বৈধ হিসেবে চিত্রায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফক্স নিউজ। বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া মুগলরুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জুইশদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। মারডকের মা ইহুদি ছিলেন, আর ইহুদী ছেলেরা তাদের মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হয়, অর্থাৎ ইহুদী মেয়েরা যার ঘরেই যাক না কেন, তাদের সন্তানেরা ইহুদী হবে। মূলতঃ ফক্স নিউজ যিনি পরিচালনা করেন তার নাম পিটার শেরনিন। অবধারিতভাবেই তিনি ইহুদি।

রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সারা বিশ্বের ১৮৫ টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল। বলা হয় পৃথিবীর মোট তথ্য প্রবাহের ৬০% ই কোন ন কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রুপার্ট মারডকের The News Corporation. টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এবিসি, স্পোর্টস চ্যানেল, ইএসপিএন, ইতিহাস বিষয়ক হিস্টৃ চ্যানেলসহ আমেরিকার প্রভাবশালী অধিকাংশ টিভি-ই ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।

আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দি এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি (AP)। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান। তিনি প্রতিদিনের খবর কী যাবে, না-যাবে তা ঠিক করেন।

আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস্ , ওয়াল ষ্টৃট জার্ণাল এবং ওয়াশিংটন পোষ্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে।
ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রেহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদী হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই করে ১১টি পত্রিকা। এই গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম নিউজউইক।

আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস্-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সালজবার্গার প্রসিডেন্ট ও সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি।

বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল ষ্টৃট জার্নাল। আঠার লাখেরও বেশী কপি চলা এই পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশী পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রশ্ন হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ৩২টা দেশের ৩২ × ২৩ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী???

উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।

অথবা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১০টা দেশের ১০ × ১৫ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী????

যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ফুটবলারের কতজন ইহুদী? কিংবা পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের কতজন ইহুদী?

উত্তর হচ্ছে, একজনও না।

কেন?

একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০ – ৩০ সে.মি. বা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আর ও কম, হয়ত ১০ – ১২ সে.মি.

ইহুদীরা বিশ্ববাসীকে ১০ – ৩০ সেন্টিমিটারের ফুটবল ক্রিকেট বল নিয়ে ব্যস্ত রেখে তারা ১২৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল নিয়ে খেলছে – আর এই পৃথিবীটাই হচ্ছে সেই ফুটবল।

শেষ কথাঃ
আপনি ফুটবল-ক্রিকেট যাই নিয়ে থাকতে চান থাকেন, স্বাধীন দেশে কেউ আপনাকে বাধা দিবে না। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডও ক্রিকেট খেলে। কিন্তু সেখানে ক্রিকেট নিছকই একটা পেশা, একটা বিনোদন। কোন দেশই বিনোদনের চিয়ার্স লিডারদের গায়ে দেশপ্রেম আর জাতীয় ঐক্যের হাস্যকর আলখেল্লা জড়ায় না। খেলার উপর দেশপ্রেমের আলখেল্লা জড়িয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে এর ইকোনোমিক ইম্পরট্যান্সের কথা বলে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ক্রিকেটের ভূমিকা নিয়ে বিশাল লেকচার দিয়ে নিজেকে এফ গ্রেডের বলদ প্রমাণ করবেন না।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *