মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি, সাতক্ষীরা
HimalayFeb 13, 2019পর্যটন, ফিচার

সাতক্ষীরাতে প্রায় ৩’শ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে বিনোদন মোজাফ্ফার হোসেন মন্টু মিয়ার বাগার বাড়ি। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ওই বাগান বাড়িতে রয়েছে ৬৬টি আবাসিক, বিনোদন চিড়িয়াখানা। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন দর্শনার্থীরা। জানা গেছে, ২০০৭ সালে ওই মন্টু মিয়ার বাগার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাগান বাড়ি ঘুরে দেখা গেছে, এখানে রয়েছে কুমির, বাঘ, ভাল্লুক, ঘোড়া, হাতি, অজগর সাপ, শকুন, হরিণ, জেব্রা, পাকিস্তানি পাখি, দেশি পাখি, কবুতর, টিয়া পাখি, ময়না পাখি, বিদেশী কুকুর, বানর, হনুমান, শুরুস, খরগস, বিড়ালসহ অসংখ্য ফুলবাগান। এছাড়া কিশোর কিশোরীদের জন্য রয়েছে, নাগোর দোলা, চরকা, বোড। দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা জানান, মন্টু মিয়ার বাগান বাড়িতে আসতে পেরে আমরা ধন্য হয়েছি। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘুরার পর আনন্দে মেতে উঠেছে সকল বয়েসের মানুষ। কয়রা থেকে আসা খলিলুর রহমান জানান, আমার জীবনে এই প্রথম মন্টু মিয়ার বাগান বাড়িতে এসে চারি দিক ঘুরে আনন্দ পেয়েছি। বরিশাল থেকে আসা রহিম উদ্দীন জানান, গত বছরও বাগান বাড়িতে এসে ছিলাম। এবার আমার পরিবারকে নিয়ে আসতে পেরে ধন্য হয়েছি। এখানে চিড়িয়াখানাসহ গোড়ে উঠেছে বিনোদন পার্ক। চৌগাছা, ঝিকরগাছা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মুজিবনগর, টুঙ্গিপাড়া, কালিগঞ্জ, সীমাখালী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নারী পুরুষ, কিশোর-কিশোরীরা বাগান বাড়িতে ঘুরা ঘুরি করে আন্দন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেছে।
বাগান বাড়িতে রান্না বাড়া করে অনেকেই আনন্দতে উল্লাস হয়ে উঠেছে। কেউ তুলছে ছবি, কেউ করছে রান্না, আবার কেউ নাচ গান করে আনন্দ পাচ্ছে। ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, বাগান বাড়িতে বছরে আমার এ দোকানের ভাড়া দিতে হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। তিন মাসে ব্যবসা করার পরও অনেক লাভবান হয়ে পড়ে আছি এ স্থানে। খুলনার পান ব্যবসায়ী কার্ত্তিক জানান, ২০০৫ সালে ৫ হাত জায়গা নিয়ে বছরে ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়। এক একটি পান ১০ টাকা করে বিক্রি করি। এবছরে ৭০ হাজার টাকা দিয়েও ৫০ হাজার টাকা আমার লাভ রয়েছে। আলিমুন জানান, আমি প্রথম বারের মত পিতা-মাতার সঙ্গে বাগান বাড়িতে আসতে পেরে খুব আনন্দ পেয়েছি। এখানে ঘুরে চিড়িয়াখানা দেখেছি। নাগোর দোলায় উঠেছি খুব আনন্দ করছি। তুলি খাতুন জানান, আমার খুব ইচ্ছা ছিল মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি দেখতে পিতা-মাতার সঙ্গে এসে অনেক কিছু দেখার পর আমি ধন্য হয়েছি। এদিকে কেশবপুর নিউজ ক্লাবের পক্ষ থেকে শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরাতে মন্টু মিয়ার বাগান বাড়িতে আনন্দ ভ্রমণে যান সাংবাদিকরা। তারা হলেন কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক এম আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুুয়াদ, নির্বাহী সদস্য আজিজুর রহমান, সদস্য নজরুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, আবু হাসান, আবু বক্কার, মনঞ্জুরুল ইসলাম মুকুল, রিজাউল ইসলাম। এছাড়া আসলাম হোসেনসহ সাংবাদিকদের পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করেন।
আনন্দ শেষে বিজয়ী দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মোজাফ্ফার গার্ডেনের ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, প্রায় ৩শ বিঘা সম্পত্তির উপর বিনোদন গার্ডেন ২০০৭ প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে দেশ ও বিদেশের দর্শনার্থীরাও আনন্দ উপভোগ করতে আসেন। এই বিনোদন পার্কটি ৪৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত। এছাড়া ৬৬ টি এসি-ননএসি আবাসিকের ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।