বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে
আমাদের দেশ বাংলাদেশ । আমাদের দেশটি ভৌগোলিক আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার দিক থেকে অনেক বড়। আমাদের জাতীয় ভাষা বাংলাও বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষস্থানীয় ভাষা। বাংলা ভাষায় এখন প্রায় ৩০ কোটি মানুষ কথা বলে। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বাংলা ভাষাভাষি মানুষ কোনো না কোনো কাজে বসবাস করছে। বাংলাদেশ শিল্পসমৃদ্ব দেশ না হলেও একটি শিল্পে বাংলাদেশ অনেক দুর এগিয়ে গেছে। তাহলো গামেন্টস শিল্প। গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। বিশ্বে যুদ্ববিধস্ত ও সমস্যাসঙ্কুল এলাকায় শান্তি স্থাপনেও বাংলাদেশ অবদান রেখে চলছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষায় কাজ করে চলছে। এভাবে বাংলাদেশ বিশ্বে তার একটি মর্যাদার আসন প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। সেখানে আমাদের সরকার, সুশীল সমাজ ও সাধারন জনগনকে কাজ করতে হবে। যেমন অভ্যন্তরীনভাবে সুশাসন, দুর্নীতি দমন, শিক্ষার মান, ব্যবসা ও শিল্পস্থাপনে পরিবেশ, চিকিৎসা সেবা, আইন শৃংখলা পরিস্থিতি, পর্যটন ও পরিবহন তথা যোগাযোগ খাতে শৃংখলা ইত্যাদি ক্ষেতে আমরা কাক্সিখত মানে পৌছতে পারিনি। ব্যবসা ও শিল্পস্থাপনে বিশ্ব ব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস সুচকে আমরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছি। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বমানের সাথে আমরা কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। দুর্নীতি হ্রাস করতে পারছিনা। এসব কারনে বিশ্ব সভায় আমাদের অবস্থান ও মর্যাদা যতটুকু অর্জন হয়েছে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
আমরা যদি অভ্যন্তরীনভাবে উল্লেখিত সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারি তাহলে বিশ্বে আমাদের দেশ সর্ম্পকে আরো ইতিবাচক মর্যাদা গড়ে উঠবে। বিশ্ব গণমাধ্যমে আমাদের সর্ম্পকে ইতিবাচক ইমেজ প্রচারিত হবে। অপরদিকে দেশের অভ্যন্তরে সুশাসন ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারলে বিদেশে তার প্রচার পাবেই। আর তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকরা নির্বিঘেœ বেড়াতে আসবে। বিশ্বের গণমাধ্যমে যদি এটা প্রচার হয় যে বাংলাদেশ ভ্রমনে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই তাহলে বাংলাদেশে পর্যটকদের আগমন বহুগুন বেড়ে যাবে। আর পর্যটকদের মাধ্যমে যখন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অন্যরা জানবে তখন পযটকদের আগমন গানিতিকহারে বাড়বে। তার জন্য প্রয়োজন দেশের সরকার প্রশাসন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারকদের সদৃচ্ছা দৃঢ় সিদ্বান্ত।
আমাদের প্রত্যাশা সরকার ও প্রশাসনসহ সর্বস্তরের জনগণ বাংলাদেশের ইতিবাচক মর্যাদা ও সুনাম গড়ে তুলতে সর্বাত্বক প্রচেস্টা চালাবে। সবাই যদি যৌথভাবে চিন্তা করে কাজ শুরু করতে পারে তাহলে এসব সমস্যা সমাধান করা অসম্ভব নয়। যেকোন সমস্যা সরকার যদি জনগণকে সাথে নিয়ে শুরু করে তাহলে সমাধান সম্ভব। এভাবেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি সুখী সৃমদ্ব ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ মর্যাদার আসীনে প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই সবার কামনা।