মাহফুজুর রহমান রাকিবঃ মানুষ যে সব মহা পাপের জন্য অধিক হারে জাহান্নামে যাবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নামাজ ত্যাগ করা। কোরআনের ২৩ নম্বর সূরা মু’মিনুনে ঈমানদারদের প্রধান যেসব বৈশিষ্ঠের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার প্রথম বৈশিষ্ঠই হচ্ছে তারা নামাজের প্রতি বিনয়-নম্র এবং যত্নশীল। ২ এবং ৯ নম্বর আয়াতে তা বর্নিত আছে।
সূরা আল-মুদ্দাসসির এর ৪২ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে জান্নাতের এবং জাহান্নামের অধিবাসির মধ্যে কথোপকোথন আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখিত আছে যে, যখন জান্নাতের অধিবাসীরা জাহান্নামের অধিবাসীদের কাছে জানতে চাইবে যে তারা কেন জাহান্নামে এসেছে তখন তারা বলবে যে তারা দুনিয়াতে নামাজ পরত না, অভাবগ্রস্তকে খাবার দিত না, সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করত
সূরা বাকারা এর ১৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ “হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।”
সূরা ত্বা-হা এর ১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নাই, অতএব আমার ইবাদত কর এবং আমার স্বরণার্থে নামাজ কায়েম কর।”
সূরা হুদ এর ১১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ “নামাজ কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তে এবং রাতের প্রান্তভাগে, অবশ্যই ভাল কাজ পাপকে মুছে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।”
সূরা আরাফ এর ১৭০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ “যারা আল্লাহর কিতাবকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে, আমি ত সৎকর্মীদের কর্মফল নষ্ট করি না।”
তাছাড়াও অসংখ্য সহীহ হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা।
সূনান আত তিরমিজীঃ ২৬১৮, সহীহ ইবনু মাজাহ (১০৭৮), মুসলিম।
হুসায়ন ইবনু হুরায়স (রহঃ) … বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের এবং কাফিরদের মধ্যে পার্থক্যকারী আমল হল সালাত। যে সালাত ছেড়ে দিল সে কুফরী করল।
সূনানে নাসাঈঃ ৪৬৪, সহীহ ইবনে মাজাহ হাদীস নম্বরঃ ১০৭৯
তাই সাবধান! যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের জীবনের সমস্ত পাপাচারের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং নিয়মিত নামাজ কায়েম করুন।