হিমালয় ডেস্ক: সমগ্র বিশ্বে যখন ব্যস্ত করোনা মহামারি মোকাবিলায়, ভারত তখন সন্ত্রাস দমনের নামে অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে চালাচ্ছে সেনা অভিযান। শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কথিত জঙ্গি দমনের নামে তল্লাশি অভিযানে যৌথবাহিনী গুলিতে নিহত হয়েছেন ৯ স্বাধীনতাকামী।
পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছেন এক ভারতীয় সেনা। আহত হয়েছেন আর ২ সেনা। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানা গেছে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে গত ৫ আগস্ট থেকে এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে মোদি সরকার। যে কোন ধরণের প্রতিবাদ দমনের উদ্দেশ্যে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে হাজার হাজার সেনা। এর মধ্যেই গত মাসের শেষের দিকে বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন করোনা প্রাদুর্ভাব নিয়ে, মোদি সরকার তখন কাশ্মীর নিয়ে আরেকটি নতুন আইন নীরবে পাশ করল।
দখলদার ইসরায়েল যেমন অবৈধ অভিবাসনের মাধ্যমে গাজা উপত্যকা দখলে নেয়, সেই স্টাইলে ঘোষিত হল নতুন এই ‘ডোমিসাইল’ আইন। এই আইন অনুযায়ী যে কোন ভারতীয় নাগরিক কাশ্মীরে ১৫ বছর বাস করলেই নিজেকে সেখানকার অধিবাসী হিসেবে দাবি করতে পারবেন।
ধারণা করা হচ্ছে বিতর্কিত এই আইন নিয়ে যাতে কোন ধরণের প্রতিবাদ না হয়, তার জন্যেই জঙ্গি দমনের নামে সেনা অভিযান শুরু করেছে মোদি সরকার। শনিবার সকালে সেই অভিযানে ৪ স্বাধীনতাকামীকে হত্যা করে নিরাপত্তারক্ষীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার হার্দমানগুড়ি বাটাপোরা এলাকায়। এর পর রোববার উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে কিরণ সেক্টরে পাঁচ জনকে হত্যা করে ভারতীয় সেনা।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মকর্তার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই জঙ্গিরা কুলগামের নন্দীমার্গ এলাকার দুই বাসিন্দাকে হত্যা করেছিল। শনিবার সকালে ওই স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে তিনজনকে হত্যা করা হয়। মৃতদের নাম ফয়াজ, আদিল ও মহম্মদ শাহিদ। প্রত্যেকের বাড়ি কুলগামের ডিএইচ পোরা এলাকায়।
সূত্র: গালফ নিউজ, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, টিওআই।