রোগীর নাক থেকে সরে যাওয়ার পরও আরো বেশ ক’দিন চোখে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব থেকে যেতে পারে। এ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইতালির প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগীর উপর গবেষণা করে এ রিপোর্টটি করা হয়েছে। ওই রোগী ৬৫ বছর বয়সের একজন নারী। তিনি চীনের প্রধান আক্রান্ত শহর উহান থেকে ২৩ জানুয়ারি ইতালি গিয়েছিলেন।
অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে গত ১৭ এপ্রিল প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, ইতালি যাওয়ার ছয় দিন পর ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ সময় তার করোনার উপসর্গ- শুকনা কাশি, গলাব্যাথা, চোখের প্রদাহ ছিল এবং চোখ গোলাপী বর্ণের হয়ে গিয়েছিল। চোখের পাতা এবং চোখের বলের চারপাশে স্বচ্ছ ঝিল্লির প্রদাহ ছিল।
সংগৃহীত নমুনায় চিকিৎসকরা তার চোখে ভাইরাসের উপস্থিতি দেখতে পায়।
কিন্তু কয়েক দিন পর রোগীর নাকে যখন আর ভাইরাসের উপস্থিতি ছিল না, এমনকি চোখের গোলাপী বর্ণও দূরিভূত হয় তখনো চোখে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়।
চিকিৎসকরা দেখতে পান, তখনো ভাইরাসটি চোখে তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এ ভাইরাসটি উচ্চ সংক্রামক।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব পর্যবেক্ষণ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নাক, মুখ ও চোখে হাত দেয়া যাবে না এবং ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।
‘এ পথে সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়ন করা উচিত,’ এতে যোগ করা হয়েছে।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৮ লাখের বেশি মানুষ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ পেরিয়েছে।
সূত্র : আল আরাবিয়্যা