ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে গোটা অস্ট্রেলিয়া। এরই মধ্যে আগুনে পুড়ে মারা গেছে হাজার হাজার বন্যপ্রাণী। উদ্ধারকর্মীরা অনেক প্রাণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে সবার মধ্যে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম আরউইন পরিবার। পুরো পরিবার মিলে এরই মধ্যে ৯০ হাজারেরও বেশি বন্যপ্রাণীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবানলে পুড়ে যাওয়া অসংখ্য বন্যপ্রাণীকে নিজেদের উদ্যোগে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করেছে আরউইন পরিবার। অস্ট্রেলিয়ার চিড়িয়াখানার অধীনে ‘ওয়াইল্ডলাইফ হাসপাতাল’ নামে একটি হাসপাতাল আছে আরউইন পরিবারের। সেখানেই এই বন্যপ্রাণীদের চিকিৎসা দেন তাঁরা। ওলি নামের একটি প্লাটিপাসকে চিকিৎসা দেওয়ার পর আরউইন পরিবারের সদস্য রবার্ট আরউইন ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে জানান, ওলি ৯০ হাজারতম প্রাণী, যাকে তাঁরা চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন।
আরউইন পরিবারের আরেক সদস্য, রবার্টের বোন বিন্ডি আরউইন গত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টটির সঙ্গে সংযুক্ত ছবিতে দেখা গেছে, তাঁর মা ও ভাই চিকিৎসার জন্য একটি কুমিরকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছেন। ২১ বছর বয়সী বিন্ডি পোস্টটিতে লিখেছেন, ‘ভয়াবহ এই দাবানলে যেসব মানুষ এবং প্রাণী মারা গেছে, তাদের জন্য আমাদের গভীর শোক ও সমবেদনা রয়েছে। তবে এই দাবানল থেকে আমাদের চিড়িয়াখানা নিরাপদে আছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে হাসপাতালে আমাদের বেশি ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা ৯০ হাজারের বেশি প্রাণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। আমার বাবা-মা এই হাসপাতালটি আমার দাদিকে উৎসর্গ করেছিলেন। যত বেশি সম্ভব প্রাণীর জীবন বাঁচিয়ে আমরা আমাদের দাদির প্রতি সম্মান জানাতে চাই।’
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে ভয়াবহ দাবানলে এরই মধ্যে অন্তত ২৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পুড়ে গেছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও গাছপালা, প্রাণ গেছে অনেক নিরীহ প্রাণীর। দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
Previous Post৯০ হাজার প্রাণীর জীবন বাঁচিয়েছে এই পরিবার
Next Postসৌদি থেকে দুদিনে ফিরলেন ১৭৬ বাংলাদেশি
Related articles
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
HimalaySep 20, 2023