সিন্ধু ও মুলতান বিজয়ী মুহাম্মদ বিন কাসিম আল সাকাফির আজ জন্মদিন । ৩১ ডিসেম্বর ৬৯৫ সালে তিনি তাইফে (বর্তমান সৌদি আরব)জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ছিলেন একজন উমাইয়া সেনাপতি।
৭১২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু নদসহ সিন্ধু ও মুলতান অঞ্চল তিনি জয় করে উমাইয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত করেন। তার সিন্ধু জয়ের কারণে মুসলমানদের পক্ষে ভারতীয় উপমহাদেশ বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিম যখন সিন্ধু আক্রমণ করেন তখন তার বয়স ১৭ বছর ছিল। তিনি হাজ্জাজ বিন ইউসুফের ভাতিজা ছিলেন।
উমাইয়া শাসক আবদুল মালেক বিন মারওয়ানের শাসনামলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইরাকের গভর্নর ছিলেন। ওমান ও সিন্ধু অঞ্চলে মুয়াবিয়া বিন হারেস আলাফী ও তার ভাই মুহাম্মদ বিন হারেস আলাফী খলিফা মারওয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। ওই বিদ্রোহীরা রাজা দাহিরের সাহায্য পেয়েছিলেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বারবার রাজা দাহিরকে পত্র পাঠান, তিনি যেন বিদ্রোহীদের সাহায্য করা থেকে বিরত থাকেন। ওই সময়েই সিলোনের (শ্রীলঙ্কা) কিছু মুসলমান পরিবার সমুদ্রপথে ওমান যাচ্ছিল। জলদস্যুরা তাদের মালামাল লুট করে নেয়। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ রাজা দাহিরের কাছে জলদস্যুদের শাস্তি দাবি করেন। কেননা লুটের ঘটনা দেবলের বন্দরে ঘটেছিল। রাজা দাহির এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর মুহাম্মদ বিন কাসিমকে রাজা দাহিরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।
খলিফা সুলায়মান ইবনে আবদুল মালিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে কুতাইবা ইবনে মুসলিম এবং মুহাম্মদ ইবনে কাসিমকে হত্যা করেন । ১৮ জুলাই ৭১৫ তারিখে তাকে হত্যা হয়। কাল্পনিক ও মিথ্যা নালিশে তাঁকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও সংগঠনের চিন্তা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ই প্রথম করেন। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ এ পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কার্জন হলে । এই সম্মেলনে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভাষা সংক্রান্ত একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি করেন । যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় ।
১৯৫৪ সালে এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলে শিক্ষামন্ত্রী সৈয়দ আজিজুল হক নির্দেশ দেন,
“যুক্তফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী বর্ধমান হাউজের বদলে অপেক্ষাকৃত কম বিলাসের বাড়িতে বাসস্থান নির্দিষ্ট করিবেন এবং বর্ধমান হাউজকে আপাতত ছাত্রাবাস ও পরে বাংলাভাষার গবেষণাগারে পরিণত করা হইবে”।
অবশেষে ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার উদ্বোধন করেন ‘বাংলা একাডেমি’র।