মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া সাগর সৈকতে হাজারো আজব জীব জড়ো হয়েছে, যা দেখতে পুরুষাঙ্গের মতো। অনেকে একে মাছ বলছেন। তবে তা আসলে মাছ নয়, ‘ফ্যাট ইনকিপার ওয়ার্ম’ বলে পরিচিত এক ধরনের কীট। যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী শীতকালীন ঝড়ের প্রভাবে এসব কীট সানফ্রান্সিসকো থেকে ৫০ মাইল উত্তরে এসে ড্রেকস সৈকত ঢেকে ফেলেছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকটাই পুরুষাঙ্গের সঙ্গে মিল থাকা ইনকিপার ওয়ার্ম বা সামুদ্রিক কীটগুলো মাটির নিচে থাকে। সাধারণত এ কীটগুলো ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলেই বিশেষভাবে দেখা যায়। জীববিজ্ঞানী ইভান পার বলেন, এ কীটের গঠন যেমনই হোক না কেন, তা মূলত মাটির নিচে থাকার জন্য জুতসই। এদের জীবাশ্ম পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৩০ কোটি বছর আগেও এদের অস্তিত্ব ছিল।
ভোঁদড়, সামুদ্রিক মাছ, হাঙর, শাপলা মাছ, গাঙচিল ও মানুষের খাবার হিসেবে এগুলো ব্যবহৃত হয়। জাপানর ভাজি ও গ্রিল করে এ কীট খাওয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় সুস্বাদু খাবার হিসেবে এ কীট খেতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অদ্ভুতদর্শন এ কীট দেখতে ভিড় করছে মানুষ। ড্রেকস বিচে গত সপ্তাহ থেকে এসব কীট হাজির হতে শুরু করার পর থেকে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ইউরেচিস কপো। সমুদ্রের তলদেশে এদের বাস। সামুদ্রিক বর্জ্য খায়। সমুদ্রের ওপরে উঠে আসায় ভোজের মচ্ছব শুরু করেছে গাঙচিলগুলো।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এসব কীট সৈকতে উঠে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামুদ্রিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সমুদ্রের তলদেশে পরিবর্তনের জন্য এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। বড় ধরনের কোনো ঝড় হয়তো সমুদ্রের তলদেশকে প্রভাবিত করেছে। কোনো ধরনের ভূমিক্ষয় থেকে এগুলোর আবাসস্থল ধ্বংস হতে পারে। অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিচে অদ্ভুত প্রাণী ভেসে আসার কথা জানা যায়। এবারের অদ্ভুত প্রাণী দেখে আপনি নাক সিঁটকালেও জাপান ও কোরিয়ার মানুষের কাছে এ কীট কিন্তু দারুণ উপাদেয় খাবার! সূত্র: এএফপি