অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়ার পথে চিলির একটি সামরিক উড়োজাহাজ নিখোঁজ হয়ে গেছে। উড়োজাহাজটিতে মোট ৩৮ জন আরোহী ছিলেন। চিলির বিমানবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিখোঁজ হওয়া সি-১৩০ হারকিউলিস উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে চিলির পুন্তা অ্যারেনাস শহর থেকে যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর সোয়া ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে উড়োজাহাজটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটিতে ২১ জন যাত্রী ও ১৭ জন ক্রু ছিলেন। অ্যান্টার্কটিকার কিং জর্জ দ্বীপে একটি সামরিক ক্যাম্পে সহায়তা দেওয়ার জন্য উড়োজাহাজটি রওনা হয়েছিল। উড়োজাহাজটির খোঁজে অভিযান চলছে।
চিলির বিমানবাহিনীর দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৭৭০ মাইল যাত্রাপথের মধ্যে ৪৫০ মাইল পর্যন্ত উড়োজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কন্ট্রোল রুমের। কিন্তু উড়োজাহাজটি ড্রেক প্যাসেজে যাওয়ার পর হঠাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়োজাহাজটির সঙ্গে সর্বশেষ যে জায়গায় যোগাযোগ করা গেছে, সে জায়গার ছবি টুইটারে শেয়ার করেছে বিমানবাহিনী।
ড্রেক প্যাসেজ হলো দক্ষিণ আটলান্টিক ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগকারী একটি চ্যানেল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বিশেষ পরিচিতি আছে এই ড্রেক প্যাসেজের। তবে চিলির বিমানবাহিনী জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার সময় ওই জায়গার আবহাওয়া অনুকূলেই ছিল। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় উড়োজাহাজটিতে পর্যাপ্ত জ্বালানি ছিল বলেও জানা গেছে।
উড়োজাহাজটির নিখোঁজ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে চিলির এয়ারফোর্স জেনারেল এদুয়ার্ডো মসকুয়েরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিপদে পড়ার ব্যাপারে উড়োজাহাজটি থেকে কোনো বার্তা পাঠানো হয়নি। উড়োজাহাজটির পাইলট অনেক অভিজ্ঞ। জেনারেল এদুয়ার্ডো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, হতে পারে বাধ্য হয়ে উড়োজাহাজটিকে সমুদ্রে অবতরণ করাতে বাধ্য হয়েছেন পাইলট।
এ ঘটনার পর চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা এক টুইটবার্তায় বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি মর্মাহত। উদ্ধার অভিযান পর্যবেক্ষণ করতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চেরিলোস বিমানঘাঁটিতেও গেছেন তিনি।