অতঃপর জিবিরল প্রশ্ন করেন, কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বনবি বলেন, ‘এ বিষয়ে যাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে অধিক কিছু জানেন না।’ তখন জিবরিল বললেন, তাহলে কেয়ামতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলুন। তখন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- দাসি তার আপন মুনিবকে প্রসব করবে। তখন দেখা যাবে, খালি পায়ের উল’ঙ্গ-কাঙ্গাল মেষ পালনকারীরা বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণ করে গর্ব ও অহংকার করবে। হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম বিভিন্ন প্রয়োজন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ২৪ হাজার বার এসেছেন বলে জানা যায়। একবার বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন- হে জিবরিল! আমার ইন্তেকালের পর আপনি কতবার দুনিয়াতে আসবেন? জিবরিল বললেন, ‘১০ বার আসবো এবং দুনিয়া থেকে ১০টি জিনিস তুলে নেব।
আর ১০তম জিনিসটি তুলে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম সিঙ্গায় ফুঁ দেবেন এবং কেয়ামত শুরু হবে। ১০টি জিনিস হলো- বরকত তুলে নেয়া হবে। ইবাদতের স্বাদ বা মজা তুলে নেয়া হবে।পরস্পরিক মহব্বত তুলে নেয়া হবে। লজ্জা তুলে নেয়া হবে। হক বা সঠিক বিচার তুলে নেয়া হবে। সবর বা ধৈর্য তুলে নেয়া হবে।আলেম’দের থেকে সত্য কথা তুলে নেয়া হবে। যারা হক কথা জানলেও তা বলবে না।
ধনীদের অন্তর থেকে সৎ সাহস উঠিয়ে নেয়া হবে। ঈ’মানদার ব্যক্তি থাকেবে না। ঈ’মান উঠে যাবে। ক্বারিদের অন্তর থেকে কুরআন তুলে নেয়া হবে। যখনই দুনিয়া থেকে মানুষের ঈমান ও কুরআন উঠিয়ে নেয়া হবে তখনই কেয়ামত শুরু হবে। সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায়, উল্লেখিত ১০টি জিনিসের অনেকগুলোই আজ অনুপস্থিত।
কোথাও এগুলোর পরিপূর্ণ অস্তিত্ব নেই। আবার কিছু জিনিস একেবারেই উঠে গেছে। আল্লাহ তাআলা মু’সলিম উম্মাহকে ঈমান ও কুরআনকে বুকে ধারণ করে সত্য পথে চলার তাওফিক দান করুন। পরিশেষে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।