তাঁর বয়স মাত্র ২৪। সবেমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার নামকরা বিদ্যালয় ওয়ার্টন স্কুলের ফিন্যান্স বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। গত মঙ্গলবারের আগ পর্যন্ত ছিলেন একজন সাধারণ যুবক। কিন্তু রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। বলছি এরিক তিসের কথা।
গত মঙ্গলবার উপহার হিসেবে এরকিকে দেওয়া হয় প্রায় চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার (৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার)। এই এই অঢেল সম্পদের উপহার এসেছে নিজের পরিবার থেকেই। পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ারের এক–পঞ্চমাংশ তাঁকে উপহার দেন মা–বাবা। তাঁর মা–বাবা উভয়ই সিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, নিজেদের অনেক কিছুই রয়েছে। কিন্তু ছেলের হাত শূন্য। কিছুই নেই তাঁর। সেটা বিবেচনায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের একটি অংশ ছেলে এরিক তিসেকে উপহার দেন তাঁরা মা–বাবা।
তিসে হংকংয়ের নাগরিক। এশিয়ার সবশেষ কোটিপতির ঘরে নাম উঠল তাঁর। তবে ধনীর তালিকায় নাম ওঠাতে মোটেও আগ্রহী নয় তিসে ও তাঁর প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তিসে হবেন একজন উদ্যোক্তা। প্রতিষ্ঠানকে উত্তরোত্তর সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবেন তিনি। কোটিপতির তালিকায় নিজের নাম ওঠানোর কাজে তিনি অংশ নেবেন না। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতে চান।
ওই বিশাল সম্পদ পাওয়ার আগ থেকেই তিসে অনেক বড় তারকার সঙ্গে চলাফেরার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বড় বড় মডেলের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যান। বাস্কেটবল খেলা তাঁর খুবই পছন্দ। তাঁর বন্ধুতালিকায় রয়েছেন মডেল বেলা হাদিদ ও রিহান্নার মতো তারকারা। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও মাঝেমধ্যে সখ্য রয়েছে এরিক তিসের। ১ অক্টোবরে চীনে কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা গ্রহণের ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সবচেয়ে কম বয়সী অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পান এবং অংশগ্রহণ করেন তিসে। তিসের ইনস্টাগ্রাম থেকেই পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
বিবৃতিতে সিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড মঙ্গলবার বলেছে, ‘পারিবারিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও উত্তরাধিকার সুসংহত করতেই’ তিসেকে ওই সম্পদ দিয়েছেন তাঁর মা–বাবা। তাঁর ওই সম্পদ প্রদানের নথিতে সই করেন কোম্পানির সভাপতি ও তিসের বোন থেরেসা তিসে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বোর্ড কমিটির নির্বাহী পরিচালকের পদও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
চীনে যতজন কোটিপতি রয়েছেন, তাঁদের ৮ শতাংশই ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠানের মালিক। চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে হু হু করে বাড়ছে দেশটির কোটিপতিদের সংখ্যা।