বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। আজ শনিবার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি ওই প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য দেন। রওশন এরশাদ বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যেক দেশেই আছে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে বিত্তশালীরা বিনিয়োগ করবেন। না হলে টাকা পাচার হয়ে যাবে। এসব টাকা বিনিয়োগ হলে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই। বেসরকারি খাত ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে না। অথচ বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় চ্যালেঞ্জ হলো বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে, না হলে বৈষম্য কমবে না। এ জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে।
অর্থবছর জুলাই থেকে না করে জানুয়ারি থেকে করার পরামর্শ দেন রওশন। তিনি বলেন, যখন অর্থবছর শুরু হয় তখন ভরা বর্ষা থাকে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া, অনলাইনে কেনাকাটায় কর প্রত্যাহার, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সাংসদদের মতামত নেওয়ার আহ্বান জানান।
কৃষকদের জন্য প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ধান বেশি হলো, কিন্তু কৃষকেরা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। তাদের প্রণোদনা দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও কৃষকদের শতভাগ ভর্তুকি দেওয়া হয়। কৃষককে কেন ধান খেতে আগুন দিতে হলো, তিনি খাদ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে এর জবাব চান।
বাজেটের ইতিবাচক দিকের প্রশংসা করে রওশন এরশাদ বলেন,এর আগে কখনো সংসদ সদস্যরা এত আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে বক্তব্য দেননি। রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার আনার পরামর্শ দিয়ে রওশন বলেন, ভ্যাট কাঠামো কার্যকর করার আগে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন।বিরোধীদলীয় নেতা এইচ এম এরশাদ অসুস্থ থাকায় তিনি বাজেট অধিবেশনে ছিলেন না। নিজের বক্তব্যে এরশাদের জন্য সবার কাছে দোয়া তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ।