খুলনাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার রোগীদের একটি বড় অংশ ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নেন। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন গুরুতর অসুস্থ রোগীরা। এ অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে খুলনা ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। সম্প্রতি ভারতের এএমআরআই হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে খুলনায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা নগরের একটি অভিজাত হোটেলে ওই তথ্যকেন্দ্রের পরিচিত অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (খুলনা) রাজেশ কুমার রায়না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
রাজেশ কুমার রায়না বলেন, খুলনার মানুষের চিকিৎসার কথা চিন্তা করে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে ওই প্রস্তাব দেন। ভারতীয় হাইকমিশনার ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সার্ভিসটি চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। রোগীদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তি সহজ করার আশ্বাসও দেন তিনি।
খুলনা নগরের আহসান আহমেদ রোডের লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই তথ্যকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। পরিচিতি সভায় জানানো হয়, পূর্ব ভারতের এএমআরআই হাসপাতালটি এক হাজার বেডের একটি হাসপাতাল। এখন থেকে খুলনা কেন্দ্রের মাধ্যমেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে মেডিকেল ভিসা-সংক্রান্ত পরামর্শও পাওয়া যাবে বলে ওই সভায় জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি বলেন, ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে বেশ উন্নত। চিকিৎসা সেবায় দেশটি রোগীদের আস্থা অর্জন করেছে। ধনী লোকেরা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে চিকিৎসার জন্য যান। তবে যাঁদের সামর্থ্য কম, তাঁরা ছোটেন ভারতে। সে ক্ষেত্রে চেন্নাই, ভেলরসহ ভালো মানের হাসপাতালগুলো বেশ দূরে। ট্রেনে করে যেতে কয়েক দিন লেগে যায়। এ জন্য কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করা যায় কি না, তা ভেবে দেখতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন মেয়র।
এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন খুলনার ভিসা কর্মকর্তা মানস কুমার পান্ডে বলেন, ভারতে যাতায়াতের সময় ভারতীয় অংশে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কর্মকর্তাদের দ্বারা পাসপোর্টধারী যাত্রী হয়রানি হন, এমন অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে দ্রুতই একটি সমাধান হবে।