রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা, বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শুক্রবার তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে স্থানীয় হোটেল সেরিনায় তাঁরা এ বৈঠকে করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটি ছিল প্রথম বৈঠক। কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারর্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে দুশানবেতে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে অবস্থান করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন।
আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। জয়শংকর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করেছে।
ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার (গেটওয়ে) হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূকৌশলগত সুবিধার কথা উল্লেখ করে জয়শংকর বলেন, বিআইএমএসটিইসি-কে শক্তিশালী করলে উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ভারত আঞ্চলিক সংযোগের ওপর সমধিক গুরুত্বারোপ করে থাকে বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ক ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সমাধান করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন, তা বিশ্বের অপরাপর দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এ সময় তিনি ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রায় এক শটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (স্পেশাল ইকোনমিক জোন, এসইজেড) ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে জয়শংকরের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনে ভারতকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে জয়শংকর বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও সংবাদ
বিষয়: