কূটনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ বিদেশী কোম্পানিগুলোর অনুকূল নয় বলে মন্তব্য করে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি বলেছেন, এখনো ব্যবসায় নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি অপ্রতুল অবকাঠামো, ওয়ার্কিং ভিসা আবেদনের দীর্ঘ পদ্ধতি ও জটিল কর কাঠামো ব্যবসায় শুরুর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। এ ছাড়া ভয়াবহ যানজটও বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। এ সব সমস্যা কেবল জাপানের বিনিয়োগই নয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে।
ইউএনবিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাপানের রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সার্বিক বিনিয়োগ পরিবেশ আকর্ষণীয় করে তুলতে বাংলাদেশে বিদ্যমান বিদেশী কোম্পানিগুলোর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও তাদের অনুরোধগুলো সুরাহা করা প্রয়োজন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ২৬০টি জাপানের কোম্পানি কাজ করছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস অ্যাক্টের মাধ্যমে জাপানের আরো বেশি কোম্পানিকে বাংলাদেশ আকর্ষণ করতে পারে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ভোগ্যপণ্য, হালকা শিল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় খাত।
ইজুমি বলেন, সমুদ্রবেষ্টিত জাপান ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতির সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারে জাপানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সমুদ্র অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা আমরা বাড়াতে চাই। রফতানি বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে জাপানে তৈরী পোশাক রফতানি বাড়ছে। তবে অনেক জাপানি ক্রেতাই হয়ত জানে না তাদের পোশাকটি বাংলাদেশে তৈরি। জাপানের ক্রেতারা পণ্যের মান সম্পর্কে খুব সচেতন। রফতানি আরো বাড়াতে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো জাপানের বাজার সম্পর্কে নিবিড় সমীক্ষা চালাতে পারে।
বাংলাদেশের ওষুধ ও চামড়াজাত পণ্যকে জাপানের বাজারে সম্ভাবনাময় হিসেবে আখ্যায়িত করেন রাষ্ট্রদূত। ইজুমি বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি হবে। এটিকে সামনে রেখে দুই দেশের সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।