মাসিক হিমালয়কে তিনি বলেন, “ভ্রমণ শিশুর সুষম বিকাশে কাজ করে। শিশুরা অনুকরণ-অনুশীলনের মাধ্যমে শেখে, পরিবেশ থেকে শেখে। তারা নতুন নতুন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনকে সুন্দর করে।”
ভ্রমণ একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভ্রমণের মাধ্যমে শিশুরা খুব সহজেই মানুষের সাথে মিশতে পারে। ভ্রমণ মানুষের শুধু একটা ঘোরা বা আনন্দের নয় বরং এটি কিছু স্মৃতি বিজড়িত সময়। এর মাধ্যমে যে সুখস্মৃতি তৈরি হয় ভবিষ্যতে সেগুলি অনুপ্রেরণা যোগায়।”
প্রত্যেক শিশুর মাসে দুইবার খোলামেলা পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বলে জানান তিনি। ঘুরতে যাওয়া বা ভ্রমণ নিয়ে কথা হয় কিছু স্কুল পড়ুয়া বন্ধুর সঙ্গে। মাসিক হিমালয়ের কাছে তারা নিজেদের মন্তব্য ভাগাভাগি করে। পরিবারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি হয় কিনা এমন প্রশ্নে প৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র রাফি বলে, “দুই বছর আগে গ্রামে দাদাবাড়ি গিয়েছিলাম। তারপর আর কোথাও যাওয়া হয়নি।“সামনে পরীক্ষা। পড়ার চাপ অনেক বেশি, তাই এখন আর যাওয়া সম্ভবনা। ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই।”
প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া মাহি বলে, “আমাদের স্কুলে একটি পরীক্ষা শেষ না হতেই আরেকটি পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। তাছাড়া স্কুল, কোচিং, গৃহশিক্ষককেই সময় দিয়ে ফুরসত মেলে না। ঘুরতে যাওয়া তো দূরের কথা।”
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সিয়াম। ও বলে, “ঈদ ছাড়া আমার কখনও ঘুরতে যাওয়া হয় না। আব্বু-আম্মুর সাথে ঘুরতে খুব পছন্দ করি আমি। তবে দুজনেরই অফিস আছে।”
মাসিক হিমালয়ের সঙ্গে কথা হয় অভিভাবকদেরও। তারা বলেন, এই ঘুরতে না যাওয়ার বড় কারণ হলো ব্যস্ততা। মোহাম্মদ জাবেদ নামের একজন অভিভাবক বলেন, “কোনটা রেখে কোনটা করব? আমরা চাকরি করি। ছুটি পাই না তেমন। সব মিলিয়ে পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়ে ওঠে না।”
দেশ বিখ্যাত কবি মো: হুমায়ন কবির বলেন, “ভ্রমণ শিশুদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় তা জানি। কিন্তু আমরা তাদের জন্য আনন্দপূর্ণ ভ্রমণের পরিবেশ তৈরি করতে পারছি না। সময় কম, পাশাপাশি রাজধানীতে শিশুদের জন্য খোলা পরিবেশও তেমন নেই। তাই ঢাকার বাইরে যেতে হয়। যা খুবই সময়সাপেক্ষ।