উল্লেখযোগ্য খবর
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

বাংলাদেশের ৪৫ টি সেরা দর্শনীয় স্থান

হিমালয় ডেস্কঃ আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ। এদেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রতিবছর ভিড় জমিয়ে থাকেন এদেশে। প্রাচীন স্থাপনা, পাহাড়ে-আহারে, নদীতে নৌকা ভ্রমণ, সবুজের মাঝে জ্যোৎস্নার খেলা, এমনকি মেঘের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো চোখ জুড়ানো পর্যটন স্থান রয়েছে এখানে।

১. কক্সবাজার: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বসেরা সমুদ্রসৈকত। পাহাড়ঘেরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্রসৈকত। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য কক্সবাজার আদর্শ জায়গা। এ ছাড়া এখানে অনেক প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে।

২. সেন্টমার্টিন: সেন্টমার্টিন হলো বিশ্বের অন্যতম বড় প্রবাল দ্বীপ। অপূর্ব সুন্দর জায়গা সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ডাবের জন্য বিখ্যাত। আপনি সেন্টমার্টিনে পাবেন সুমিষ্ট ডাবের পানি আর শাঁস। এখানে মাছধরাসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীকে উত্তেজিত করতে পারেন।

৩. রাঙামাটি: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটি। কাপ্তাই লেকের বুকে ভেসে থাকা ছোট্ট এর জেলা শহর আর আশপাশে সর্বত্রই রয়েছে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থান। এখানকার জায়গাগুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজে। তবে বর্ষার সাজ একেবারেই অন্যরূপ।

৪. খাগড়াছড়ি: সৃষ্টিকর্তা অপার সৌন্দর্যে সাজিয়েছেন খাগড়াছড়িকে। এখানে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালি, চেঙ্গি ও মাইনি উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা। যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। ভ্রমণবিলাসীদের জন্য আদর্শ স্থান।

৫. সিলেট: বাংলাদেশের যে কয়েকটি অঞ্চলে চা-বাগান পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। সিলেটের চায়ের রং, স্বাদ এবং সুবাস অতুলনীয়। রূপকন্যা হিসেবে সারা দেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং।

৬. বিছানাকান্দি: সিলেটের পর্যটন স্বর্গ। দেশের সীমান্তঘেরা পাথরের বিছানা ও মেঘালয় পাহাড় থেকে আসা ঠাণ্ডা পানি। পাশেই পাহাড়ি সবুজের সমারোহ। ছোট বড় পাথরের ওপর দিয়ে ছুটে আসা স্বচ্ছ পানির স্রোতধারা বিছানাকান্দিতে সৃষ্টি করেছে এক মনোরম পরিবেশ।

৭. সাজেক: রাঙামাটিতে এর অবস্থান হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা, তারপর বাঘাইহাট হয়ে সাজেক। পুরো রাস্তাটাই অপূর্ব, আশপাশের দৃশ্যও মনোরম। পথের দুই পাশে লাল-সবুজ রঙের বাড়ি ও পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জমে মেঘের মেলা।

৮. ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক: ঢাকা জেলার সবচেয়ে কাছের দর্শনীয় স্থান এই ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক। শাল। জীববৈচিত্র্যে ভরা এই পার্ক। প্রায় ২২০ প্রজাতির গাছ, ১৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫ প্রজাতির পাখি ও ৫ প্রজাতির উভচর প্রাণীও রয়েছে এখানে।

৯. রঙরাং: রঙরাং পাহাড়ের চূড়ায় না উঠলে রাঙামাটির সৌন্দর্য অপূর্ণ থেকে যাবে। পাহাড়ের কোলঘেঁষে বয়ে গেছে মোহনীয় কর্ণফুলী। কর্ণফুলীর পাশে বরকল ও জুরাছড়ি উপজেলায় এর অবস্থান। চারপাশের এমন সব সৌন্দর্য চোখের সামনে চলে আসবে যদি রঙরাং চূড়ায় উঠতে পারেন!

১০. বান্দরবানের বোল্ডিং খিয়াং: বান্দরবানের মংপ্রু পাড়ায় ঝরনাটির অবস্থান। দুই বিশাল পাহাড়কে পাহারায় রেখে পাথুরে জলের ধারা বয়ে দিচ্ছে এই ঝরনা। পাহাড়ের চূড়ায় উঠতেই বদলে যাবে দৃশ্যপট। ঝরনাগুলো পুরো এলাকাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে সাদাটে কুয়াশার চাদরে।

১১. চর কচ্ছপিয়া: ভোলা জেলার চরফ্যাশনের গোসাইবাড়ি ঘাটে খালটির অবস্থান। খালে নৌকাতে ছুটে চলা আর পাশেই সবুজের খেলা অপরূপ এক দৃশ্য। শীতকালে মেলে হরিণ ও বাহারি পাখির মেলা।

১২. তেঁতুলিয়া: হিমালয়ের কোলঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। সমতল ভূমির চা-বাগান, তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার, বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টসহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

১৩. ইদ্রাকপুর দুর্গ: মুন্সীগঞ্জ শহরের ইদ্রাকপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন। মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জকে রক্ষার জন্য নির্মিত হয়েছিল এই দুর্গটি।

১৪. ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও ছোট জেলা হলেও এটি প্রাচীন ঐতিহ্যসমৃদ্ধ একটি জনপদ। এ জেলার নেকমরদ, রাণীশংকৈল স্থানে সুপ্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন বিদ্যমান।

১৫. লালবাগ কেল্লা: মোগল আমলের স্থাপত্যকীর্তি লালবাগের কেল্লা। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষার্ধে তৈরি এই কেল্লাতে রয়েছে পরীবিবির মাজার, দরবার গৃহ, হাম্মামখানা, মসজিদ, দুর্গ ইত্যাদি। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে লালবাগ কেল্লার অবস্থান।

১৬. নীলগিরি: নীলগিরি দেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। বান্দরবানের থানচি উপজেলায় এর অবস্থান। মেঘের সঙ্গে মিতালি করে এখানে মেঘ ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নীলগিরিতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অপরূপ।

১৭. নীলাচল: বান্দরবান জেলার প্রবেশমুখেই অবস্থিত নীলাচল ও শুভ্রনীলা। ১৭০০ ফুট উচ্চতার এই পর্যটনস্থানগুলোতে সবসময়ই মেঘের খেলা চলে। এ পাহাড়ের ওপর নির্মিত এ দুটি পর্যটনকেন্দ্র থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার দৃশ্য দেখতে খুবই মনোরম।

১৮. চলনবিল: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিলের নাম চলনবিল। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এটি। বর্ষার সুন্দরী বলা চলে ৩ জেলাজুড়ে বিস্তৃত বিলকে। বর্ষায় কানায় কানায় পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে রূপের পসরা সাজিয়ে বসে।

১৯. শুভলং ঝরনা: রাঙামাটি জেলার সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর মধ্যে শুভলং ঝরনা একটি। এই ঝরনা দেখতে সর্বক্ষণ পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে ঝরনাটি পতিত হয়েছে কাপ্তাই লেকে। শুভলংয়ের কাছে যেতে বাধা নেই, ফলে ঝরনার রূপ মাধুর্য প্রাণভরে উপভোগ করা যায়।

২০. আহসান মঞ্জিল: বুড়িগঙ্গার পাড়ঘেঁষে কুমারটুলী এলাকায় প্রাচীন এই সাম্রাজ্যের অবস্থান। মঞ্জিলটি রংমহল ও অন্দরমহল দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রাসাদটির উপরে অনেক সুদৃশ্য গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া একটি জাদুঘরও রয়েছে এখানে।

২১. মহাস্থানগড়: ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পুরাকীর্তিটি বগুড়ায় অবস্থিত। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী ছিল বর্তমান বগুড়া মহাস্থানগড়। মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং সেন আমলেও বগুড়ার বিশেষ প্রশাসনিক গুরুত্ব ছিল। করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে এটির অবস্থিত।

২২. সোমপুর মহাবিহার: সোমপুর মহাবিহার পাহাড়পুর বিহারে অবস্থিত। এটি ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধবিহার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। এটা পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত গন্তব্য। কারণ এটি অনন্য স্থাপত্য। এই স্থান পরিদর্শন করেন বেশির ভাগ ভারতীয়।

২৩. বাংলার তাজমহল: বিভিন্ন কারণে সোনারগাঁ বিখ্যাত। কালের বিবর্তনে এখানে বিশ্বের প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য আগ্রার তাজমহলের আদলে সোনারগাঁয়ের পেরাব গ্রামে নির্মাণ করা হয়। স্থাপত্যে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বাংলার তাজমহল।

২৪. প্রাচীন সোনারগাঁ: ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে এই মোগল সাম্রাজ্যটির অবস্থান। এখানে রয়েছে পাঁচ পীরের দরগা, প্রাচীন পানাম নগরী, নীলকুঠিসহ আরও অনেক প্রাচীন স্থাপনা।

২৫. লাউয়াছড়া বন: ঘন জঙ্গলের বুক চিরে চলে গেছে পাহাড়ি রাস্তা। দুই পাশে সারি সারি গাছ। তার মধ্য দিয়ে মধ্যদুপুর কিংবা সোনাঝরা সকাল অথবা বিকালের নরম আলো লাউয়াছড়াকে করেছে আরও মোহনীয়। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই বন।

২৬. রাজবন বিহার: রাঙামাটির জেলার বেশ কয়েকটি নিদর্শনের মধ্যে রাজবন বৌদ্ধবিহার একটি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি পবিত্র স্থান। মন্দিরের দৃষ্টিনন্দন গঠনের জন্য সাধারণ পর্যটকের কাছেও এটি আকর্ষণীয় জায়গা।

২৭. চিম্বুক : দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। বান্দরবানের চিম্বুক সারা দেশেই পরিচিত নাম। চিম্বুক যাওয়ার রাস্তার দুই পাশের পাহাড়ি দৃশ্য ও সাঙ্গু নদীর দৃশ্য খুবই মনোরম। পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে দেখা যাবে মেঘের ভেলা।

২৮. স্বর্ণমন্দির: মহাসুখ মন্দির। সোনালি রঙের জন্য স্বর্ণমন্দির বিখ্যাত। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বালাঘাটা এলাকার নাতিউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় এর অবস্থান। প্রতি পূর্ণিমার রাতে অপরূপ আলোয় এখানে জ্বলে ওঠে হাজার মাটির প্রদীপ।

২৯. লালবাগ কেল্লা: লালবাগ দুর্গের নির্মাণ মোগল সুবেদার সম্রাট আওরঙ্গজেবের ছেলে মোহাম্মদ আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু করেছিলেন। মোগল আমলের জটিল ও অসম্পূর্ণ একটি দুর্গ। এই দুর্গের স্থাপত্য পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।

৩০. ষাট গম্বুজ মসজিদ: ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত ষাট গম্বুজ মসজিদ, এটি বৃহত্তম মসজিদটি সুলতানি আমলে নির্মিত হয়। মসজিদটি সাধারণত নামাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।

৩১. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: এই জাদুঘর ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ খোলা হয়। জাদুঘর প্রদর্শন ১০,০০০ অধিক হস্তনির্মিত এবং চিত্র প্রদর্শনীতে। এটি বর্তমানে পুনর্নির্মিত হচ্ছে। জাদুঘর কোনো দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা বলে মনে করা হয়। কারণ এটাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংরক্ষণ আছে।

৩২. মনপুরা : বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলা জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। রুপালি দ্বীপ মনপুরা। মনপুরা উপজেলা দেশের মানুষের কাছে যেমন আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় জায়গা তেমনি বিদেশিদের কাছেও।

৩৩. হুসানি দালান: হুসানি দালান ঢাকায় মোগল শাসনের আমলে নির্মিত হয়েছিল। মহররমের সময় অনুষ্ঠিত সভা বা জড়ো হওয়ার জন্য বেশির ভাগ শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এ স্থান পরিদর্শন করে।

৩৪. সাগরকন্যা কুয়াকাটা: অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্রসৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্যোদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার।

৩৫. পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত: পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সৈকত। এটা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সেরা গন্তব্য। তারা নিজস্ব সফর স্মরণীয় করতে তাদের পরিবারের সঙ্গে এখানে ঘুরে বেড়ান। এটা পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় স্থান।

৩৬. খোলারাম দাতার বাড়ি: নবাবগঞ্জের বান্দুরায় এই বাড়িটি অবস্থিত। বিশাল বাড়ি তার নাম খোলারাম দাতার বাড়ি। বাড়িটি নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে। এই বাড়ি থেকে একটি সুড়ঙ্গপথ ছিল ইছামতির পাড়ে।

৩৭. বরিশালের দুর্গাসাগর: বরিশালের বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের জন্য মনোরম পরিবেশ ও অনেক প্রাচীন কীর্তি রয়েছে এখানে। এখানকার মাধবপাশায় রাজবাড়ির সম্মুখে ইতিহাসখ্যাত দুর্গাসাগর দীঘি অবস্থিত।

৩৮. সুন্দরবন: সারা বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলগুলোর মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম। বিশ্বের অনেক পর্যটক ঘুরতে আসেন সুন্দরবনে। অপরূপ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের জোয়ার-ভাটা বিচিত্র রূপের এ বনকে দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা প্রতিদিন ভিড় জমান।

৩৯. রাইংখ্যং পুকুর: রাঙামাটির পাহাড় চূড়ায় নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক হ্রদ। আদিবাসী অধ্যুষিত হ্রদটির আয়তন প্রায় ৩০ একর। হ্রদের পানি স্বচ্ছ হওয়ায় সূর্যালোক, আবহাওয়া ও মেঘের ওপর ভিত্তি করে পানি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে।

৪০. সুপ্রাচীন খেরুয়া মসজিদ: বগুড়া শহরের প্রবেশপথে শেরপুর উপজেলায় প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত এই মসজিদ। ৯৮৯ হিজরি/১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে জনৈক মির্জা মুরাদ খান কাকশাল মসজিদটি নির্মাণ করেন।

৪১. সোনাদিয়া দ্বীপ: কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে খুব বেশি দূরে নয় সোনাদিয়া দ্বীপ। ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত এই দ্বীপটি। সাগরের গাঢ় নীল জল, লাল কাঁকড়া, কেয়া বন, সামুদ্রিক পাখি সব মিলিয়ে এক ধরনের রোমাঞ্চিত পরিবেশ।

৪২. বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক: গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এখানে অবমুক্ত ও বেষ্টনীতে আবদ্ধ রয়েছে অনেক পশু-পাখি।

৪৩. তাজহাট জমিদার বাড়ি: শত বছরের অমলিন কীর্তি এই জমিদার বাড়িটি। রংপুরের হাজহাটে এর অবস্থান। রাস্তার দুই পাশে আকাশসম উচ্চতার নারিকেল গাছ। বাড়িটির সামনে ও পাশে দুটি পুকুর। অনেক দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসেন।

৪৪. নিঝুমদ্বীপ: অপার সম্ভাবনার নিঝুমদ্বীপ নোয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিণের উপজেলা হাতিয়া। হাতিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গোপসাগরের কোলে জেগে উঠেছে চিরসবুজের দ্বীপ নিঝুমদ্বীপ। মাছ, গাছ, পাখ-পাখালি আর সোনার হরিণের সম্পদ ভাণ্ডার নিঝুমদ্বীপ।

৪৫. জাফলং: সিলেটের জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং-এর মনোমুঙ্কর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ পর্যটকদের টেনে আনে বার বার। শীতের হিমেল আবহ ভ্রমণপিয়াসী আর পর্যটকদের মনে দোলা দেয়।

সূত্র: বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *