হিমালয় ডেস্কঃ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার কনিষ্ঠতম শিকার দুই বছর বয়সী শিশুটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে, তবে তার বাবা এখনো সুস্থ্য হয়ে ওঠেননি। তবে তিনিও শঙ্কা মুক্ত। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ান আর্টিস্ট জুলফিরমান সাইয়াহ তার দুই বছর বয়সী পুত্র সন্ত্রানকে নিয়ে গিয়েছিলেন লিনউড মসজিদে জুমার নামাজে। মুসুল্লিদের ওপর গুলি শুরু হলে সাইয়াহ তার প্রাণ প্রিয় সন্তানকে বাঁচাতে নিজের শরীর দিয়ে আড়াল করে দাড়ান। ফলে কয়েকটি গুলি লাগে সাইয়াহ’র গায়ে। সন্তানের গায়েও গুলি লাগে, তবে তার খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। মূলত বাবা গুলির সামনে নিজের শরীর পেতে দেয়ায় কোমল দেহটি বড় আঘাত থেকে রক্ষা পায়। ২ বছর বয়সী এ্যাভেরোর পায়ে ও পিঠে গুলি লাগলেও বড় কোন ক্ষতি হয়নি। সাইয়াহ’র স্ত্রী আলতা সাক্রা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হামলার সময় আমার স্বামী আমাদের সন্তানকে আড়াল করে দাড়ায়। ফলে তার গায়ে অনেকগুলো গুলি লেগেছে। ফলে সন্তানের চেয়ে তিনি মারাত্মক আহত হয়েছিলেন’।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, সাইয়াহ’র শরীর বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি গুলি লেগেছে। তবে বেশ কয়েকটি অপারেশনের পর তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আর কয়েকদিন পর সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোন সংবাদ মাধ্যম যেন তাদের বিরক্ত না করে। গত সপ্তাহে এই পরিবারটির সাথে দেখা করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডের্ন। এ্যাভেরোর মা ফেসবুকে লিখেছেন, আরো অনেকের মতো এটি আমাদের জন্য ছিলো অত্যন্ত কঠিন সময়। স্বামী ও সন্তান জীবিত আছে এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এসময় নানাভাবে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ। অল্প কিছুদিন আগে পরিবারটি নিউজিল্যান্ড গিয়েছে। আর্টিস্ট জুলফিরমান সাইয়াহ ইন্দোনেশিয়ান, আর তার স্ত্রী আলতা সাক্রা আমেরিকান। নিউজিল্যান্ডে বসবাসের জন্য স্থায়ী হতে তারা পারি জমিয়েছে দেশটিতে।