হিমালয় ডেস্কঃ সৌদি আরবের মানুষদের প্রিয় খাদ্য জয়তুন ও পনির। সকালের নাশতায় এই দুটি খাবার তাঁদের থাকা চাই। আর থাকে হালওয়া। জয়তুন আকারে আমাদের দেশি জলপাইয়ের অর্ধেক এবং কালো রঙের। বিভিন্ন স্বাদ আর রঙের জলপাই পাওয়া যায় এখানে। সৌদি আরবের মিষ্টি খাবারগুলোর মধ্যে আছে বাসবোসা, বাখলাভা, কুনাফা, মায়ামোল, হালওয়া, বামিয়েহ, মুহালবিয়া ও কাতায়েফ। বাসবোসা হলো কাজু বাদাম ও সুজি মিশ্রিত কেক। কুনাফা হলো পনির দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি একধরনের মিষ্টান্ন। মায়ামোল, হালওয়া, বামিয়েহ, মুহালবিয়া হচ্ছে দুধের পুডিং আর কাতায়েফ হচ্ছে মাখন ও পনির দিয়ে তৈরি একধরনের কেক। বামিয়েহ হচ্ছে ফারসি মিষ্টান্ন এবং বাখলাভা হচ্ছে বাদাম মিশ্রিত ক্যারামেলের কেক। সামবোসা হালওয়া দেখতে আমাদের দেশের সমুচার মতো। ত্রিকোনাকার ওপরের আস্তরণটি তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। ভেতরে পুর হিসেবে ব্যবহার হয় এলাচি, পেস্তা বাদাম, জাফরান গুঁড়া, গোলাপ পানি আর চিনির মিশ্রণ।
আরবরা রুটি ও মাংসের তৈরি বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকেন। তাহরিদ নামে পাতলা রুটির ওপর ঝোলসহ মাংস আর এলাচি মাখানো কিজা নামের একধরনের সেঁকা রুটি ও গার্লিক চিকেন তাঁদের খুব পছন্দ। এ ছাড়া আল ফাহামও তাঁদের একটি খাবার। এটি বড় থালায় বিশেষ ধরনের রান্না করা ভাতের মধ্যে থাকে ঝলসানো মুরগি। মান্দি ইয়েমেনও সৌদি আরবের একটা ঐতিহ্যবাহী খাবার। মান্দি হচ্ছে বিশেষভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের সংমিশ্রণ। কয়লার আগুনের তাপে ভাত ও মাংস সেদ্ধ করা হয়। ভাতের মধ্যে কিছু দারুচিনি, এলাচি, কিশমিশ দেওয়া হলেও মাংসে কোনো মসলাই দেওয়া হয় না। ছাগল বা দুম্বা জবাইয়ের পর রক্ত পরিষ্কার করে কিছু লবণ ও তেল মেখে পুরো ছাগল বা দুম্বা চুলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চুলার নিচে থাকে ভাতের পাতিল আর ওপরে ছাগল ঝোলানো। প্রচণ্ড তাপে ছাগলের শরীরের চর্বির খণ্ড নিচে ভাতের ওপর পড়তে থাকে। তারপর তা খাওয়া হয়।