উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কক্ষে এক সহকারী শিক্ষককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত ও মারপিটের শিকার ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কক্ষে এসেছিলেন। সোমবার সকালে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষকের নাম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। তিনি উপজেলার কুতুবপুর নাগেরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম সামসুজ্জামান। তিনি একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
ভুক্তভোগী কুতুবপুর নাগেরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার আমি প্রধান শিক্ষক সামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রমানপত্রসহ লিখিত অভিযোগ জমা দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কক্ষে যাই। অভিযোগ জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালান এবং বেধড়ক পিটুনি দিয়ে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। এ সময় অফিসের কয়েকজন কর্মচারী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আমাকে প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, এর আগে আমি নিয়োগ পাওয়ার জন্য ৫০ শতক জমি বিক্রি করে পাওয়া ৮ লাখ টাকা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সামসুজ্জামানকে দেই। এরপর তিনি আমাকে সহকারী শিক্ষক(ধর্ম) পদে নিয়োগ প্রদান করেন। আমি যথারীতি ক্লাস নেয়াসহ আমার দায়িত্বপালন করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে বাদ দিয়ে মিঠাপুকুরের বড়বালা এলাকার এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার জন্য তার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এর প্রতিবাদ করে আমি অভিযোগ দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার ওপর হামলা চালান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সামসুজ্জামান বলেন, আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাকে নিয়োগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তার শিক্ষার সনদ তৃতীয় শ্রেণির হওয়ায় তার চাকরি হবে না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আমি তাকে মারধর করিনি। এধরনের কোনো ঘটনাও সেখানে ঘটেনি। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে এলাহী জানান, অফিসের ভিতরে ঢুকে কেউ যদি এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, তাহলে এটা অবশ্যই অন্যায় করেছেন।