হিমালয় রিপোর্টঃ নির্বাচন কমিশন দেশের সব সরকারি হাসপাতালগুলোকে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। একইসাথে অ্যাম্বুলেন্সগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখতেও বলা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। নির্দেশনা বলা হয়েছে- আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর তিন দিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ দেশের সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত এবং অ্যাম্বুল্যান্স স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে। সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রায় ৮ লাখ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কাজে দায়িত্ব পালন করবে।
বিগত বছরগুলোতে প্রতি সংসদ নির্বাচনেই সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। দলীয় কর্মী-সমর্থকের সাথে সহিংসতায় নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকবলও আহত কিংবা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। দশম সংসদ নির্বাচনেও কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৩৫ জনকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় নেতারাও হামলার শিকার হয়েছেন। পুলিশের গুলিতেও কেউ কেউ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনে। ইতোমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে যে সহিংসতা হয়েছে, তা নিয়ে তার দেশ উদ্বিগ্ন। ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় নির্বাচনেই অনেক জায়গায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনেকস্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। ভোটে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ লোকবল কাজ করবেন। এদের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্যই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।