মোহাম্মদ মুরাদ হোসাইনঃ সারাবছরই ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় এখন মুখরিত থাকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র জামালপুরের লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক। তবে শীতের আগমনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে ভ্রমণপিপাসুরা বিনোদনের জন্য ছুটে আসে এই পার্কটিতে। জামালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে বেলটিয়া এলাকায় স্থাপিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বৃহৎ বিনোদন কেন্দ্র লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন এই পার্কটিকে ঘিরে গোটা জেলাবাসীর মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। বিনোদন বঞ্চিত জামালপুরবাসীকে আনন্দ দেয়ার লক্ষ্যে দশ একর জমির ওপর স্থাপিত এই পার্কটি প্রায় এক’শ বেকার যুবক-যুবতীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। লুইস পার্কে বিনোদনের জন্য বাম্পার কার, মেরী গো রাউন্ড, সুইং চেয়ার, মিনি ট্রেন, ফ্যামেলি ট্রেন,ওয়ান্ডার হুইল, জেড কোস্টার, কফি কাপসহ মোট ১৪টি রাইডস-এর ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ১০টি রাইডস চালু রয়েছে। চীন ও দেশীয় তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এই রাইডসগুলো শিশু নারীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের বাড়তি বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে। এই পার্কটিতে এখন বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বিনোদন পিপাসুরা দল বেঁধে ঘুরতে আসছে। পুরো পার্কটি ঘিরে নয়নাভিরাম ফুলের বাগান আর সবুজে ঘেরা সৌন্দর্য যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। পার্কে আসা অতিথিদের জন্য উন্নত ও পরিচ্ছন্ন রেস্টুরেন্ট, কনভেনশন সেন্টার, ফাস্ট ফুড, শিশুদের খেলনা ও জামালপুরের খ্যাতিসম্পন্ন হস্ত শিল্পের স্টলসহ আরো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে। পার্কটি বিনোদনের জন্য প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কটির ভিতরের পরিবেশ দেখে যে কোনো পর্যটকের চোখ জুড়িয়ে যাবে। গোটা পার্কটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা আর পর্যটকদের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
লুইস পার্কের মালিক মস্কো প্রবাসী মো. আতিকুর রহমান লুইস-এর ভাষ্যমতে, ‘জেলার বিনোদন বঞ্চিত মানুষদের বিনোদনের জন্য আমি ২০১৪ সাল থেকে পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু করি।’ মূলত ভ্রমণ পিয়াসী ও পরিবেশ বান্ধব আতিকুর রহমান লুইস পার্কটি তৈরিতে চমতকার রুচিবোধের পরিচয় দিয়েছেন।