সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তা দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে ৬০ বার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালতের ধার্য তারিখ পেছাল।
সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার পরও দীর্ঘদিনেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার কোনো ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সরোয়ার ওরফে সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় মর্মান্তিকভাবে খুন হন। এ ঘটনায় রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রথমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল এই হত্যা মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কয়েকজন কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে বর্তমানে র্যাব সদর দফতরের উপ-পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মহিউদ্দিন আহমেদ মামলাটির তদন্ত করছেন। এ মামলার মোট পাঁচটি তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
প্রথমে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর, এরপর ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, ওই বছরের ৭ জুন, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর ও সর্বশেষ গত বছরের ২১ মার্চ তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে দুই জন অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। ওই দুই অজ্ঞাত আসামিকে শনাক্তকরতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রিল কাটা অপরাধে চোর-ডাকাতদের বিষয়েও নিবীড়ভাবে তদন্ত অব্যাহত আছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাব এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে দুজন জামিনে ও বাকি ছয় আসামি করাগারে রয়েছেন। প্রত্যেক আসামিকে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তবে তাদের কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।