খাসোগি হত্যার রেকর্ডিং পাঁচ দেশে পাঠাল তুরস্ক
হিমালয় ডেস্কঃ খাবার টেবিলে দীর্ঘ আলোচনায় মেতেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর দেয়া নৈশভোজে একত্রিত হয়েছিলেন এ দু’নেতা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অস্ত্রবিরতির ১০০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ দু’নেত প্যারসে মিলিত হয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রধান ও তাদের পোষ্যদের সম্মানে এ নৈশভোজে পাশাপাশি বসেছিলেন এ দু’নেতা। এ সময় এরদোগানের স্ত্রীও পাশে ছিলেন। এ সময় একই টেবিলে ছিলেন মলদোবার প্রেসিডেন্ট ইগোরে দোদোন ও তার স্ত্রী গালিনা দোদোন। এর আগে এ দিন জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গুতেরেসের সাথে প্রায় ৪৫ মিনিট একান্ত বৈঠক করেন এরদোগান। অপর এক খবরে বলা হয়, জামাল খাসোগিকে হত্যার রেকর্ডিং এরই মধ্যে পাঁচটি দেশে পাঠিয়েছে তুরস্ক। দেশগুলো হল, সউদী আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফ্রান্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ ছাড়ার আগে শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান এ কথা জানান। এরদোগান বলেন, জামাল খাশোগিকে হত্যার একদিন আগে তুরস্কে আসা ১৫ জনের মধ্যে কে তার হত্যাকারী তা জানে সউদী আরব। এর আগে ২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত তুর্কি প্রেসিডেন্টের এক নিবন্ধেও তিনি এসব কথা বলেন। এএফপি, আনাদোলু, ইয়েনিসাফাক।
Previous Postরাশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উন্নয়ন মেলায় এনআরবিসি ব্যাংক
Next Post১৯৫ প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবিত করছেন ইমরান খান
Related articles
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
HimalaySep 20, 2023