সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগি আঙ্কারার সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর তার লাশ কেটে টুকরো টুকরো করা হয় এবং সেই টুকরোগুলো পাঁচটি স্যুটকেসে ভরে সৌদি নিয়ে যাওয়া হয়।
তুরস্কের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সাবাহ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এর আগে তার লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
সর্বশেষ রোববার ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে, খাশোগির লাশের টুকরোগুলো স্যুটকেসে ভরে প্রথমে কনস্যুলেটের পাশ্ববর্তী সৌদি কর্মকর্তাদের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। লাশ গায়েব করার দায়িত্বে ছিরেন ১৫ সদস্যের সৌদি কিলিং স্কোয়াডের অন্যতম তিন সদস্য মাহির মুতরিব, সালাহ তুবেগি ও তাহার আল হারবি।
জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার দিন মাহির মুতরিব ইস্তান্বুল থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে সৌদি গিয়েছিলেন। ওই বিমানে করেই খাশোগির লাশের টুকরোগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
মাহির মুতরিবের ব্যক্তিগত বিমানটি তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। সেদিন বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তার ব্যাগ পরীক্ষা করতে দেননি তিনি।
ব্যক্তিগত ওই বিমানটির কোনও ফ্লাইট শিডিউল, বিমান ও ফ্লাইটের কোনও তথ্যও তিনি বিমানবন্দরে রাখেননি। সেদিন কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী মুতরিবকে বিমান বন্দরে খুব দ্রুত চলাচল করতে দেখা যায়।