স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রে দাখিল করার বিধান কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই সম্পূরক আবেদন দাখিল করেন।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
তখন আদালত আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আবেদনটি নিয়ে আসেন।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রে দাখিল করার বিধান গেজেট আকারে প্রকাশ করে কমিশন। এতে বলা হয়,স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থন সংগ্রহ, ইত্যাদি (১)স্বতন্ত্র প্রার্থী যে নির্বাচনীএলাকা হইতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক, কেবল সেই এলাকার ভোটারদের সমর্থন ফরম (ক)-তে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতার অনুকূলে সংগ্রহ করিতে হইবে।
(২) স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তদকর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কর্তৃক তফসিলের ফরম-ক-তে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের তথ্য লিপিবদ্ধপূর্বক ভোটারগণের স্বাক্ষর কিংবা টিপসহি সংগ্রহ করিতে হইবে।
এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে ২০০৪ সালে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
একই বছর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রে দাখিল করার বিধান কেন বাতিল করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
২০১৪ সালের ৫ মে বিচারপতি কাজী রেজা-উলহক ও বিচারপতি এবিএমআলতাফ হোসেনের সমন্বয়েগঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুলজারি করেন।
রুলে নির্বাচন কমিশনের এই বিধান কেন বাতিল করা হবে না—এ বিষয়ে সেই বছরের ৯ জুনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, এখনো তারা জবাব দেননি এবং সেই রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তিও হয়নি।
আমি একাধিকার রুল শুনানির জন্য আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর বার বার সময় আবেদনের কারণে মূল রুল শুনানি হয়নি।
বর্তমানে রুলটি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে। কোর্ট খুললে রুলটি চূড়ান্ত শুনানির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাবো। এ কারণে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি।