ইকতেদার আহমেদ
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা অনুসৃত হয় এমন সব দেশে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সচরাচর পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে দুই ধরনের শাসনব্যবস্থা অনুসৃত হতে দেখা যায়। এর একটি হলো রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা; অপরটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থায় সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত। অপর দিকে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর ওপর। উভয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। আমাদের দেশের বর্তমান সরকারব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতির হলেও এ দেশের মানুষের উভয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা অবলোকনের সুযোগ ঘটেছে।
যেকোনো দেশের জাতীয় নির্বাচন বিরাট কর্মযজ্ঞ। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন পালন করলেও এর জনবল সীমিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সরকারের অপরাপর কর্তৃপক্ষের সহায়তা নেয়। সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ জনবল ও সম্পদ দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে থাকে।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক দায়িত্ব নির্ভুল ও সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ। ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনকে অপরাপর কর্তৃপক্ষের অধীন কর্মরত ব্যক্তিদের সহায়তা নিতে হয়। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় সংসদের আসন সংখ্যা ও দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ভোটার তালিকা তৈরির পর এর হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সাধারণত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণের কার্যক্রম গ্রহণ করে। এতে দেখা যায়, কিছু কিছু নির্বাচনী এলাকার সীমানা আগের মতো একই থাকে আবার কিছু কিছু নির্বাচনী এলাকার সীমানার পুনর্বিন্যাস করা হয়।
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রক্ষিত জনগণ প্রদত্ত করের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। কোনো দেশে নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে ঘন ঘন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা একদিকে যেমন অর্থের অযাচিত ব্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, অপর দিকে সরকার ও দেশের স্থিতিশীলতায় বাধা হিসেবে দেখা দেয়। পৃথিবীর উন্নত ও উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশে খুব কমই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে প্রশ্নের উদয় হয়। জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে নির্বাচনকালীন সরকারকে যেমন নিরপেক্ষ হতে হয়, অনুরূপ নির্বাচন কমিশনকেও নিরপেক্ষ হতে হয়।
আমাদের সংবিধানে বর্তমানে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নামে কোনো ব্যবস্থার উল্লেখ নেই। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল বিএনপি ও তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সমঝোতায় উপনীত হয়ে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা হতে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটায়। এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন আবশ্যক। পঞ্চম সংসদে বিএনপির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। সে সংসদে আওয়ামী লীগ আনীত সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন সংক্রান্ত বিলে বিএনপি সমর্থন দিয়ে বিলটিকে আইনে কার্যকর রূপ দেয়।
পঞ্চম সংসদ পূর্ববর্তী চারটি সংসদের কোনোটিই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। প্রথম সংসদ নির্বাচনটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার অধীন অনুষ্ঠিত হলেও প্রথম সংসদ নির্বাচন পরবর্তী ১৯৭৫ সালে আনীত সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা হতে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয়। অতঃপর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা বহাল ছিল। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচনের সময় দেখা গেছে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন দল নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। পঞ্চম সংসদ নির্বাচনটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দু’টি দলের নেতৃত্বাধীন জোটের সমঝোতার ভিত্তিতে কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নির্বাচনটিতে দেখা গেল বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ক্ষমতাসীনবহির্ভূত দলের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বের ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে।
পঞ্চম সংসদে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমঝোতার ভিত্তিতে সংসদীয় পদ্ধতির শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটলেও এ সংসদ বহাল থাকাবস্থায় তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবির প্রতি একাত্ম হয়ে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সাথে একযোগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে।
পঞ্চম সংসদ বহাল থাকাকালীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপিত হলেও দলটি এ বিষয়ে সংসদে কোনো বিল উত্থাপন করেনি। পঞ্চম সংসদের শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগসহ অপর দু’টি দল জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সে সংসদের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত সংশোধনী আনার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনটি আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পাটির বর্জনের মুখে সহিংসতার মধ্য দিয়ে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সে সংসদে বিএনপির এককভাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি এ তিনটি দলের সম্মিলিত দাবি এবং জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিএনপি সে সংসদে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা সমুন্নত রাখার স্বার্থে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে এ সরকার ব্যবস্থার অধীন পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে সংসদের অবলুপ্তি ঘটায়।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংশোধিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অব্যবহিত পূর্বের ক্ষমতাসীন দল বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হয়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনের প্রথমোক্তটিতে আওয়ামী লীগ এবং শেষোক্তটিতে বিএনপি বিজয়ী হয়। উভয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বের ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হতে পারেনি।
অষ্টম সংসদ নির্বাচনটি অসাংবিধানিকভাবে গঠিত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনটির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অব্যবহিত পূর্বের ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হতে ব্যর্থ হয়েছে। নবম সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। এ সংসদে দলটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বলিয়ান হয়ে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপির বিরোধিতার মুখে এবং জনদাবির প্রতি অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করে নিজেদের উদ্যোগে প্রবর্তিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসাধন করে ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।
এ ব্যবস্থাটি প্রবর্তন-পরবর্তী দশম সংসদ নির্বাচনটি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের মতো সহিংসতার মধ্য দিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর জোটভুক্ত দলগুলোর বর্জনের মুখে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। এ বিষয়ে সংবিধানের যে সুস্পষ্ট বিধান; তাতে উল্লেখ রয়েছে- একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য সমন্বয়ে এবং তাদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ৫০ জন মহিলা সদস্যসহ সর্বমোট ৩৫০ সদস্য সমন্বয়ে সংসদ গঠিত হবে। স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দেয় যে, সংসদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের সদস্যরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তাদেরকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত মর্মে আখ্যায়িত করার অবকাশ আছে কি?
ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না এ বিষয়ে বিরোধী দলে থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান অভিন্ন। এ দেশের সাধারণ জনমানুষের একটি বড় অংশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরোধী দলে অবস্থানকালীন অভিমতের সাথে সহমত পোষণ করে। সম্প্রতি দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্ট ও বামপন্থী কয়েকটি দল সমন্বয়ে গঠিত জোট বিএনপি ও জনদাবির সাথে একাত্ম হয়ে নির্বাচনের পূর্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। উল্লিখিত তিনটি জোটের প্রতি সম্মিলিত জনসমর্থন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তুলনায় নগণ্য হলেও জোটভুক্ত এ সব দলের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত। এ কথাটি অনস্বীকার্য যে, উল্লিখিত জোটের নেতৃস্থানীয় কেউ স্বীয় অবস্থান থেকে অপর কোনো দুটি বৃহৎ জোটের সমর্থন ব্যতিরেকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলে তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য।
একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ দোরগোড়ায় উপনীত। এ নির্বাচনটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্তৃক একতরফাভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনীত ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হলে এর ফলাফল অতীতের ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর ফলাফলের চেয়ে যে ভিন্নতর হবে না এটি অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দেশ ও জনগণের কল্যাণের মধ্য দিয়ে সার্বিকভাবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। দেশের সাধারণ জনমানুষও দেশের স্থিতিশীলতার বিষয়টিকে মাথায় রেখে প্রত্যাশা করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনসমর্থনের প্রতিফলনে নির্বাচিত দল সরকার পরিচালনা করবে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে হলে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়া অত্যাবশ্যক।
বিদ্যমান সাংবিধানিক ব্যবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে দেশের প্রধান বিরোধী দলসহ অপরাপর কিছু দল এবং জনমানুষের একটি বড় অংশের সমর্থন না থাকায় দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিষয়টিকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের করণীয় হবে প্রধান বিরোধী দলের সাথে সমঝোতায় উপনীত হয়ে স্থায়ীভাবে নির্বাচনকালীন এমন একটি সরকারব্যবস্থার উদ্ভাবন, যা অনাগত প্রতিটি সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: [email protected]