রাবিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসব
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেছেন, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছাড়া সমাজের কোনো পরিবতর্ন হয় না। যারা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছো এতে হয়ত প্রতিপত্তি এনে দিবে না। কিন্তু লোভ, লালসা থেকে বিরত রেখে কল্যাণকামী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়তা করবে।আগামীর কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণে বিতার্কিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) গ্রুপ অব লিবারেল ডিবেটারস্ (বাংলাদেশ) আয়োজিত বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিতার্কিকদের উদ্দেশে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিতর্ক চর্চা তোমাদেরকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। ‘মর্যাদায় গড়ি সমতা’ প্রতিপাদ্যের বিতর্ক প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।
সংগঠনের সভাপতি সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ও সদস্য তাজরিন মেধার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন গোল্ড বাংলাদেশের মডারেটর প্যানেলের সদস্য সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর রবিউল ইসলাম এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মামুন আ. কাউয়ুম।
এদিকে উদ্বোধন পর্ব শেষে অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই বিতর্ক উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধ-শতাধিক বিতার্কিক অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে