ওয়ানডেতে সিরিজ সেরা ইমরুল, টেস্টে তাইজুল: টেইলরের রেকর্ড
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে ব্যাটিং করেছেন ইমরুল কায়েস। তিন ম্যাচ সিরিজে ১৪৪, ৯০ ও ১১৫ রানের ইনিংস খেলে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ওয়ানডে সিরিজে ধারাবাহিক খেলে যাওয়া কায়েস, টেস্ট সিরিজে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। দুই টেস্টের চার ইনিংসে তার সংগ্রহ মাত্র ৫১ রান। আর এই ধারাবাহিকতার অভাবেই তাকে বার বার দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে।
তবে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছেন তাইজুল ইসলাম ও মুশফিকুর রহিম। বল হাতে দুই টেস্টে ১৮ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। সিলেটের ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসে ৬ ও ৫ উইকেট নেয়ার পর ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন তাইজুল।
টানা তিন ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করে সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক জুনিয়রকে স্পর্শ করেন তাইজুল। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হতেন তাইজুল।
তবে বুধবার ১ উইকেট নেয়া তাইজুল বৃহস্পতিবার শেষ দিনে নেন মাত্র এক উইকেট। এতে করে দুই টেস্টে ১৮ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশ দলের এই বাঁ-হাতি স্পিনার। দুই টেস্টে ১১ উইকেট শিকার করে দুই দলের বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় মেহেদী হাসান মিরাজ।
টেস্ট সিরিজে দাপুটে ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম। ঢাকা টেস্টে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল (২১৯) সেঞ্চুরি। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ডাবল সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং শ্রীলংকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারাকে ছাড়িয়ে যান মুশফিক। দুই টেস্টের সিরিজে ২৭০ রান সংগ্রহ করে দুইদলের ব্যাটসম্যানের তালিকায় শীর্ষে মুশফিক। ২৪৬ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর আছেন দুইয়ে। এক সেঞ্চুরিতে ১৮২ রান সংগ্রহ করে তিনে মুমিনুল হক সৌরভ।
Previous Postইউনাইটেড পাওয়ারের আয় বেড়েছে
Next Postবিদেশী পর্যবেক্ষকদের অনুপস্থিতি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে: মুসলিম লীগ
Related articles
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
HimalaySep 20, 2023