স্টাফ রিপোর্টার : জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে এশিয়ার সবগুলো দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। খরস্রোতা নদীর পানির শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরিতে ২০১৭ সাল থেকেই এই অবস্থানে বাংলাদেশ। ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রোপাওয়ার এসোসিয়েশনের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে ২৩০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে। যেখানে পার্শ্ববর্তী নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের পরিমাণ ৯৬৮ মেগাওয়াট। হিমালয়ের এই দেশটি অবস্থান তালিকায় শেষ দিক থেকে দ্বিতীয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভুটানের দর্জিলুংয়ে ১,১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। বাস্তবায়িত হলে এখান থেকে তিন দেশই বিদ্যুৎ পাবে।
এশিয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহাপ্রাচীরের দেশ চীন। এর পরই যথাক্রমে অবস্থান করছে ভারত ও জাপান।
হাইড্রোপাওয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বের মধ্যে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে গত বছর নতুন করে যে পরিমাণ জলবিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে তার ৯০ শতাংশই ছিল চীনে। দেশটির জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ৩ লাখ ৪১ হাজার ১৯০ মেগাওয়াট।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জাপানের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন ৪৯ হাজার ৯০৫ মেগাওয়াট। আর ৪৯ হাজার ৩৮২ মেগাওয়াট সক্ষমতা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর ভিয়েতনামের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৬ হাজার ৬৭৯ মেগাওয়াট। আর পাকিস্তানের সক্ষমতা ৭ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।