শাহ আব্দুল হান্নান: পুরুষ ও স্ত্রীলোকের পোশাক-পরিচ্ছদ সম্বন্ধে ইসলামি আইন যথাযথ উপদেশ ও নির্দেশনা দান করেছে। ইসলাম যথাযথ পোশাক-পরিচ্ছদের মাধ্যমে দুটি বিষয় প্রতিষ্ঠা করতে চায়। প্রথমত,মানবদেহ ঠিকমতো আচ্ছাদন করা। কারণ,বিশ্রীভাব দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন করা ঠিক নয়। দ্বিতীয়ত,সৌন্দর্যায়ন ও ভূষণ বাড়িয়ে তোলা। পবিত্র গ্রন্থ কুরআনে বলা হয়েছে- হে বনি আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবার ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদেরকে পোশাক দিয়েছি এবং সর্বোত্তম পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার পোশাক (সূরা আরাফ,৭ঃ২৬)
দেহ ঠিকমতো আচ্ছাদন করা ও ভূষণের মধ্যে ভারসাম্য থাকা উচিত। যদি এই ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে যায় তাহলে শয়তানের পথ অনুসরণ করা হবে। এ সম্পর্কে কুরআন বলে- হে বনি আদম! শয়তান তোমাদের প্রথম বাবা-মাকে যেভাবে বেহেশত থেকে বহিষ্কার করেছিল এবং তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান উভয়ের সামনে দেখানোর জন্য বিবস্ত্র করেছিল,তোমাদেরকে কিছুতেই শয়তান যেন সেভাবে প্রলুব্ধ না করতে পারে (সূরা আরাফ,৭:২৭)।
পুরুষ ও স্ত্রীলোকের জন্য একই ধরনের পোশাক পরিধান করতে ইসলাম অনুমতি দেয়নি। ইসলাম পুরুষ ও স্ত্রীলোকের মধ্যকার প্রভেদ রক্ষা করতে চায়। পুরুষ ও স্ত্রীলোর একে অপরের পোশাক পরিধানের মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই। নবি করিম সা.বলেছেন-
পুরুষের স্ত্রীলোকের মতো পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ এবং স্ত্রীলোকের পুরুষের মতো পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ (বুখারি)।
ইসলাম পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যবহারে জাঁকজমক ও আড়ম্বরতা নিষিদ্ধ করেছে। কুরআন এ সম্পর্কে বলেছেন-
আল্লাহ জাঁকজমকপূর্ণ (গবিত) লোককে পছন্দ করেন না। (সুরা আল হাদীদ,৫৭:২৩)।
ইবি সা.বলেছেন,
যে ব্যক্তি জাঁকজমক বা গর্ব দেখানোর জন্য তার পোশাক জমি পর্যন্ত স্পর্শ করায় (বিনা কারণে পোশাক লম্বা করে) আল্লাহ শেষ বিচারের দিনে তার দিকে তাকাবেন না (বুখারি)।
পোশাক-পরিচ্ছদ অবশ্যই পরিষ্কার হতে হবে। কারণ,ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়েছে। মুহাম্মদ সা.বলেছেন-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবম্বন করো। কারণ ইসলাম ধর্মে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। (ইবনে হারান)।
হযরত মুহাম্মদ সা. স্ত্রীলোকদেরকে স্বর্ণালংকার ও সিল্কের বস্ত্র পরিধান করার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি এগুলো পুরুষদের পরিধান করার অনুমতি দেননি। এর কারণ,সম্ভবত এগুলো স্ত্রীলোকদের জন্যই প্রকৃতিগতভাবে উপযুক্ত এবং পুরুষদের জন্য খুব একটা উপযুক্ত নয়।
পুরুষ ও স্ত্রীলোক অবশ্যই শালীনতাপূর্ণ পোশাক পরিধান করবে। নবি সা-এর সুন্নাহ হচ্ছে,মানুষ তার দেহ যথাযথভাবে আচ্ছাদন করবে। পুরুষদের নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য অংশ বিভিন্ন কারণে খোলা রাখা যেতে পারে। স্ত্রীলোক অবশ্যই তার দেহ যথাযথভাবে ঢেকে রাখবে। নবি সা.বলেছেন,
একটি বয়স্ক মেয়ের জন্য তার দেহ খোলা রাখা ঠিক নয়। সে অবশ্যই তার মুখ মন্ডল ও হাতের সামনের অংশ খোলা রাখতে পারে (আবু দাউদ)।
নবি সা.আরো বলেছেন,
স্ত্রীলোকদের এমন পাতলা পোশাক পরতে অনুমতি দেয়া হয়নি,যা তার শরীর দেখাতে পারো (ইমাম মুসলিম)।
ইসলাম মেয়েদের বয়স হওয়ার পর ভালো করে বুক ঢেকে ওড়না পরতে বলেছে। ফ্যাশনের নামে অনেক কিশোর ও যুবতী ওড়না পরা বাদ দিয়েছেন। অনেকে গামছার মতো ওড়না গলায় জড়িয়ে রাখছেন অথবা এক দিক দিয়ে ঝুলিয়ে রাখছেন। ওড়না গামছা নয়;যা দিয়ে ভালো করে মাথা ও বুক ঢাকা হয় না তাকে ওড়না বলা চলে না।
এই প্রবণতা রোধ করা প্রয়োজন। তা না হলে পরবর্তীকালে কিশোরীদের মধ্যে পাশ্চাত্যের মতো স্কার্ট ও হাফপ্যান্ট পরার রেওয়াজ চালু হতে পারে।’সুরা নুরের ৩১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ নারীদের ওড়না পরার নির্দেশ দিয়েছেন। আয়াতটি হলো- মুসলিম নারীদেরকে বলুন,তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে;তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে,তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার ওড়না দিয়ে আবৃত্ত করে (সুরা আন নূর ২৪:৩১)।
ওপরের বিধান ঘরে-বাইরে দুই স্থানেই প্রযোজ্য। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে,সূরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে পুরুষদেরকেও তাদের দৃষ্টি সংযত রাখারও তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপরিউক্ত আয়াতে ‘খুমর’(এক বচন‘খিমার) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ‘খিমার শব্দের অর্থ ওড়না বা চাদরজাতীয় পোশাক। জাহেলিয়াতের জমানায় স্ত্রীলোকেরা মাথায় ওপর এক প্রকারের চাদর দ্বারা পেছনের খোঁপা বেঁধে রাখত। সম্মুখের দিকের বোতাম খোলা থাকত। এতে গলা ও বুকের উপরাংশ স্পষ্ট দেখা যেত। বুকের ওপরে কোর্তা ছাড়া আর কিছু থাক না( ইবনে কাসির,কাশাফ,মুহাম্মদ আসাদ লিখিত ‘মেসেজ অব দি কুরআন,মাওলানা মওদূদীকৃত তাফহিমুল কুরআন,সূরা নূরের তাফসির অংশ)। এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর মুসলমান নারী ও কিশোরীদের মধ্যে ওড়না ব্যবহার করার রেওয়াজ চালু হয়। ইমানদার মহিলারা এ নির্দেশ শুনে অবিলম্বে তদনুযায়ী আমল শুরু করেন। এর প্রশংসা করে হযরত আয়েশা রা. বলেছেন,যখন সুরাটি নাজিল হয় তখন নবি করিম সা.এর কাছ লোকেরা শুনে নিজের স্ত্রী,কন্যা ও বোনদেরকে এই আয়াতের কথা শোনায়। আয়াত শুনে প্রত্যেক উঠে ওড়না বা চাদর দিয়ে সর্বাঙ্গ জড়িয়ে নেয়। পরের দিন ফজরের নামাজে যত স্ত্রীলোকই মসজিদে নববীতে হাজির হয় তারা সবাই ওইভাবে ওড়না বা চাদর পরা ছিল। এ পর্যায়ে আরেকটি বর্ণনায় হজরত আয়েশা রা. বলেন,নারীরা পাতলা কাপড় পরিত্যাগ করে মোটা কাপড়ের ওড়না বানিয়ে নিয়েছিল (তাফসিরে ইবনে কাসীর,আবু দাউদ,কিতাবুল লিবাস;তাফহিমুল কুরআন,সুরা নূরের তাফসির)
ওপরের আলোচনায় সু স্পষ্ট হয়,মাথা ও বুক ঢেকে নারী ও কিশোরীদের ওড়না পরার নির্দেশ কুরআন থেকে এসেছে। এটা কারো বানানো বিধান নয়। অথচ বেশির ভাগ লোক জানে না যে,ওড়না পরা কুরআনের নির্ধারিত অবশ্যকতর্ব্য। এ ছাড়া অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে‘গায়ের মাহরামদের’ (অর্থাৎ যাদের কোনো নারীর বিবাহ বৈধ) সামনে মাথা ঢাকা ফরজ এবং চেহারা,হাতের সামনের অংশ ও পায়ের পাতা ছাড়া শরীরের কোনো অংশ খোলা রাখা বৈধ নয় (আবু দাউদ ও হিদায়া,নজর অধ্যায়)।
পোশাকের ফ্যাশনের নামে কুরআনের বিধান অমান্য করে আজ ওড়না উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা অনেক করেছেন। অনেক বয়স্ক মেয়েকে ওড়না ছাড়া বাইরে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। টেলিভিশনের অনেক অনুষ্ঠানেও ওড়না ছাড়া মেয়েদের অংশগ্রহণ করেত দেখা যাচ্ছে ও অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছে। অথচ ওড়না ব্যবহার ইসলামি শালীনতার সর্বোত্তম উদাহরণ। বাংলাদেশের মুসলিম জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে,এ সংক্রান্ত কুরআনের নির্দেশ কার্যকর করা।
আমাদের পোশাক প্রস্ততকারকদের প্রভাবিত করা কর্তব্য যেন তারা উপযুক্ত ওড়না ও সালোয়ারসহ পোশাক ডিজাইন করে। আর তারা যেন এমন পোশাক ডিজাইন না করে ,যার মাধ্যমে সমাজে ইসলামি শিক্ষার বিরোধী বেহায়াপনা ছড়িয়ে পড়ে।
ইসলাম স্ত্রীলোকের সম্ভ্রমের প্রতি মর্যাদা দেয় এবং খারাপ লোকদের ক্ষুধার্ত চক্ষু থেকে নিরাপদে রাখতে চায়। তাই ইসলাম স্ত্রীলোকদের তার সাধারণ পোশাকের ওপরে চাদর ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে,যখন সে কাজের জন্য বা অন্যান্য উদ্দেশ্যে বাইরে যায়। কুরআন এ সম্পর্কে বলেছে-
হে নবি! আপনার পত্নী,কন্যা ও মুমিনদের নারীদেরকে চাদর (মাথা ও বুক আচ্ছাদন করে) পরিধান করতে বলুন। এটাই ভালো স্ত্রীলোকের পরিচয়ের উত্তম পথ এবং এতে করে তাদের কখনো বিব্রত করা হবে না (সুরা আল আহযাব,৩৩:৫৯)।
চাদরটি বড় হওয়া সঙ্গত। চাদরের বুনন ভালো হওয়া প্রয়োজন। মহিলাদের দিকে নজর দেয়া নিয়ে বিখ্যাত ফিকাহর গ্রন্থ হিদায়াতে প্রাথমিক যুগের হানাফি ইমামদের মতামত নিম্নলিখিতভাবে উল্লেখিত আছে, বেগানা পুরুষের নারীর চেহারা ও হাতের তালু ছাড়া অন্য অংশের দিকে দৃষ্টি দেয়া জায়েজ নয়। কেননা আল্লাহ বলেছেন, নারীরা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না কেবল সে সৌন্দর্য ছাড়া,যা স্বতই প্রকাশ হয়ে পড়ে। তা ছাড়া চেহারা ও হাত প্রকাশ করার প্রয়েঅজন আছে পুরুষদের সাথে বিভিন্ন কাজকারবার লেনদেন করার জন্য। আবু হানিফা বলেছেন,পায়ের দিকেও নজর দেয়া জায়েজ। কেননা এরও প্রয়োজন অনেক সময় দেখা দেয়। আবু ইউসুফ থেকে বর্ণিত আছে,হাতের কনুই পর্যন্ত দেখা জায়েজ। কারণ এটিও অনেক সময় স্বতই প্রকাশ হয়। তবে কুচিন্তা থেকে নিরাপদ না হলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া চেহারার দিকে তাকাবে না (হিদায়া,নজর অধ্যায়)।
যদি মানবজাতি ইসলাম প্রদত্ত পোশাক-পরিচ্ছদের নীতি মেনে চলে,তাহলে তা অবশ্যই পুরুষ ও স্ত্রীলোকের সম্ভ্রম নিশ্চিত করবে এবং একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে।
শাহ আব্দুল হান্নান: সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার
Previous PostUN rights chief concerned about police inaction during Delhi 'attacks against Muslims'
Next Postরাসূলের জীবনাদর্শ শিক্ষা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি
Related articles
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
HimalaySep 20, 2023