মিয়ানমারসহ ছয়টি দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। তবে তারা পর্যটক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারবে। মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও তথ্য আদান–প্রদানের নীতি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমার ছাড়া নাইজেরিয়া, ইরিত্রিয়া, সুদান, তানজানিয়া ও কিরগিজস্তানের নাগরিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসে মাত্র সাত দিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাতটি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণনিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তিনি দাবি করেন, আমেরিকাকে রক্ষা করতে এ উদ্যোগ অত্যাবশ্যক ছিল। সেই দেশগুলো হলো ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভেনেজুয়েলা ও উত্তর কোরিয়া। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে। নতুন দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট বেশ কয়েক ধরনের ভিসা মিয়ানমারসহ এই ছয়টি দেশের নাগরিকদের না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে অন্য পাঁচটি দেশের তুলনায় নাইজেরিয়ার লোকজন দ্বিগুণ ইমিগ্রেশন ভিসা পেয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চাদ ওলফ সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তাবিষয়ক শর্তগুলো পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ওই দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করতে পারলেই এই দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র নাইজেরিয়ার ৮ হাজারের বেশি নাগরিককে অভিবাসন ভিসা দিয়েছে। একই বছর সুদানের দুই হাজারের বেশি নাগরিক, তানজানিয়ার ২৯০, ইরিত্রিয়ার ৩১ জন নাগরিককে এই ভিসা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরিত্রিয়ার নাগরিকদের ওপর বেশ কয়েক ধরনের ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভেনেজুয়েলা ও উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।