যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল তাঁদের রাজকীয় উপাধি আর ব্যবহার করতে পারবেন না। বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের বসন্ত থেকেই এটি কার্যকর হবে। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। হ্যারি–মেগান দম্পতিও জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে তাঁদের ফ্রগমোর কটেজ সরকারি অর্থে সংস্কার করতে যে প্রায় ২৫ লাখ পাউন্ড খরচ হয়েছে, তা তাঁরা শোধ দিয়ে দেবেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে তাঁরা এখন থেকে ওই কটেজেই থাকবেন।
সম্প্রতি আকস্মিক রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন হ্যারি ও মেগান। একই সঙ্গে ভাগাভাগি করে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় সময় কাটানোর কথা জানান। হ্যারি–মেগান জানান, জনগণের অর্থের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আয় করে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে চান।হুট করে হ্যারি–মেগানের নেওয়া ওই সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খান রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত সোমবার হ্যারির সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা। রানির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েক মাসের কথাবার্তা এবং সাম্প্রতিক আলোচনার ভিত্তিতে রানি মনে করেন, তাঁর নাতি এবং তাঁর পরিবার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে। রানি বলেন, ‘হ্যারি–মেগান ও তাঁদের সন্তান আর্চি সব সময় আমার পরিবারের অতি আপনজন হয়ে থাকবে।’
হ্যারি ও মেগানের রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর সারা বিশ্বে গুজব রটে, হ্যারির সঙ্গে তাঁর ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া নানা কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবারে সাবেক হলিউড অভিনেত্রী মেগান অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে খবর বের হয়। তবে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এসব ডাহা মিথ্যা। সংবাদমাধ্যমের বানানো উড়ো খবর।