বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ফজলে শামস। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাঈনুল হোসেন খান। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণার আগে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুবলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এরপর কাউন্সিলরদের কাছে থেকে নাম প্রস্তাবের আহ্বান করা হয়।সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম শেখ ফজলে শামসের নাম প্রস্তাব করেন এবং যুবলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রস্তাবের সমর্থন করেন।চেয়ারম্যান পদে কাউন্সিলররা আর কোনো নাম প্রস্তাব না করায় সবার সম্মতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন ফজলে শামস। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যান। দেশে ফিরে গত এক দশক ধরে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণার পর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছয়জনের নাম প্রস্তাব করেন কাউন্সিলরেরা। এর মধ্যে সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ নেতা হলেন বেলাল হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ, সুব্রত পাল, বদিউল আলম ও ইকবাল মাহমুদ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খানের নাম প্রস্তাব করা হয়।এরপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দেন। পরে তারা সমঝোতায় ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাঈনুল হোসেন খানের নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে যুবলীগের ৭ম কেন্দ্রীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় একদল শিল্পী জাতীয় সংগীত উপস্থাপন করেন।
Related articles
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
HimalaySep 20, 2023