মেয়েদের আমরা যতই আবেগী বলি, দুর্বল বলি না কেন, তাদের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা সত্যিই অসাধারণ। মেয়েরা হয়তো ছোট্ট কিছু হলেই উহ, আহ করে, কিংবা ইনজেকশনের সূই ফোটানোর মত ক্ষুদ্র আঘাতও তারা ভয় পায়। কিন্তু তারাই আবার প্রয়োজনে ডেলিভারির মত কয়েক”শ গুণ কষ্টও সহ্য করতে পারে! পারে প্রয়োজনের সময় প্রিয়জনের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করেদিতে। সারাদিন কষ্ট করে রান্নাবান্না করে স্বামী- সন্তানের ক্ষুধা দূর করার মধ্যেই তারা শান্তি খুঁজে পায়, সারাদিনের কষ্টের কথা ভুলে যায়. সেটা আপনি আপনার মায়ের দিকে তাকালেই খুব ভালোভাবে বুঝতে পাrবেন। একটি মেয়েকে জন্মের পর থেকে ত্যাগ করতে হয়, ত্যাগ করতে হয়, তার ইচ্ছে গুলো. মনের অনুভূতি গুলো, ত্যাগ করতে হয় সব ইচ্ছা আশা আখাঙ্কা, পিতার ঘর ত্যাগ করতে হয়। বিয়ের পর ত্যাগ করতে হয় তার নাম, সন্তান লাভের পর ত্যাগ করতে হয় তার রাতের ঘুম, খাওয়া-দাওয়া. অসীম ধৈর্য, ত্যাগ, কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা! আপনজনদের খুশী রাখার জন্য নিজের সবকিছুকে বিসর্জন দেয়ার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা একমাত্র মেয়েদেরকেই দিয়েছেন। সুতরাং মেয়েদের বুঝতে শিখুন. তাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যাবহার করবেন না. আর আপনি যদি তাকে সম্মান দিতে না পারেন,তাহলে অন্তত অসম্মান করবেন না। মেয়েদের মন খুবই কোমল, সেই কোমল নরম মনে কখনো আঘাত করবেন না, কখনো কষ্ট দিবেন না, শুধু তাকে আপন করে একটু ভালবাসা দিয়ে দেখেন? সমস্ত পৃথিবীর সাথে লড়াই করবে শুধুমাত্র আপনারই জন্য। মেয়েরা সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি, একটি মেয়েই পারে তার অগছালো প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার মায়ায় যত্ন করে গুছিয়ে তুলতে। মেয়েরা মায়াবতী? ব্যবহার করা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও মেয়েরা সেটা যত্ন করে রেখে দেয়। একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলেও অন্যটা ফেলে দেয় না। পুরাতন শাড়িটা, ভাঙা চুড়িটা, কাজে লাগবেনা জেনেও তুলে রেখে দেয়, কারণ হলো, মায়া মমতা ভালোবাসা, ভালোলাগা। মেয়েরা মায়ার টানে ফেলনা জিনিষও ফেলে না, অসংখ্য কষ্ট, যন্ত্রণা পেয়েও মেয়েরা মায়ার টানে একটা ভালোবাসার বন্ধন, একটা সম্পর্ক, একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়, এই জন্যই মেয়েরা মায়াবতী। আর মায়াবতীর কোন পুরুষবাচক শব্দ নেই, অনেক ভাই হয়তো ভাবতে পারেন আমি ছেলে হয়ে, এমন ভাবে মেয়েদেরকে সাপোর্ট করছি কেন? কারন হলো, আমিও যে এমনই একটা মেয়ের গর্ভে জন্ম নিয়েছি। মাগো, তোমার ভালোবাসা সীমাহীন. তোমার কষ্টের মূল্য দিতে, আমি যদি সারা জীবন তোমার খেদমত করি; তার পরেও এর প্রতিদান দেয়া সম্ভব হবে না।
Previous Postনোয়াখালীতে নতুন এক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি স্বর্ণদীপ
Next Postআত্মপরিচয়: ইসমাঈল হোসেন দিনাজী
Related articles
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
HimalaySep 20, 2023