হিমালয় ডেস্কঃ সহজেই ঝামেলাহীনভাবে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভব ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়া মানেই হচ্ছে ঘুষ লেনদেন বা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রানির শিকার হওয়া। আর নয় কোনো দালাল বা ভায়া মিডিয়া এবার নিজে নিজেই গাড়ি রেজিস্ট্রেশন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যাবে। শুধু মাত্র স্মার্ট ফোন অথবা কম্পিউটার থাকলেই চলবে। শিগগিরই বিআরটিসি সার্ভিস পোর্টাল নামে একটি পোর্টাল চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের আওতায় বিশেষ এ সেবা কার্যক্রম অল্পদিনের মধ্যেই বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এ সার্ভিস পোর্টাল চালু হলে আর গাড়ি রেজিস্ট্রেশন বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ অফিসে দৌড়াতে হবে না। এ পোর্টালে সমস্ত সেবামূলক অপশন দেওয়া থাকবে। তাতে গ্রাহক যে সেবা গ্রহণ করতে চান শুধু সেখানে গিয়ে ক্লিক করলেই কাঙ্খিত সেবার পাতা চলে আসবে। নির্ধারিত শর্ত ও ছক পূরণ করে সাবমিট করলেই কনফারমেশন আসবে। এরপর জানিয়ে দেওয়া হবে কবে আপনার পরীক্ষার তারিখ, কবে পাচ্ছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির স্মার্ট কার্ড। পোর্টালটির সমস্ত কারিগরি কাজ সম্পন্ন হয়েছে এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। এ সেবা চালু হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স আর গাড়ির কার্ড পাওয়ার হয়রানি বন্ধ হবে। বন্ধ হবে দালালের দৌরাত্ম। তাছাড়া টাকা জমা দেওয়ার জন্যও গ্রাহককে ব্যাংক বা বিআরটিএতে লাইন ধরতে হবে না। রকেট এর মাধ্যমে আই পেমেন্ট সেবা চালু আছে। বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বিআরটিএ’র সেবা আরও সহজ করতে আমরা বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টল (বিএসপি) চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে একজন এক ছাতার নিচে বসেই সমস্ত সেবা পাবে। এতে হয়রানি যেমন কমবে, তেমনি দালালের দৌরাত্মও কমবে। আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যেই এ সেবা চালু হয়ে যাবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বাণিজ্য মেলার মাঠে তিনদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলায় বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবামূলক সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য টাকা জমাসহ সব কাজ সম্পন্ন করে শিক্ষানবিশ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশনেরও কাজ করা হচ্ছে।