প্রেমিকের সঙ্গে ফিলিপাইনের সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটাতে গিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ‘বিকিনি’ পরেছিলেন এক নারী পর্যটক। কিন্তু এর খেসারত তাঁকে দিতে হয়েছে গ্রেপ্তার হয়ে। শুধু তা–ই নয়, নগদ জরিমানাও গুনতে হয়েছে সেই নারী পর্যটককে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সেই নারী পর্যটকের নাম লিন জু টিং (২৬)। তিনি ও তাঁর প্রেমিক তাইওয়ানের নাগরিক। ফিলিপাইনের পুকা সমুদ্রসৈকতে দুজনে অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু বাদ সাধে লিনের পরনের পোশাক। ‘ফিলিপাইনের সংস্কৃতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক’ পরায় লিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সঙ্গে আড়াই হাজার পেসো জরিমানাও করা হয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ হাজার টাকার একটু বেশি।
ফিলিপিন নিউজ এজেন্সির (পিএনএ) খবরে বলা হয়েছে, ৯ অক্টোবর যখন হোটেল থেকে বের হচ্ছিলেন লিন, তখনই তাঁকে পোশাকের ব্যাপারে সতর্ক করেছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা কানে তোলেননি লিন। এরপর সৈকতে তাঁর বিকিনি পরা ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে, সেটি নজরে আসে দ্বীপের আন্তসংস্থা পুনর্বাসন গ্রুপের (বিআইএএমআরজি)। বিষয়টি তারা পুলিশকে জানালে লিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ অবশ্য শুরুতেই গ্রেপ্তার করেনি লিনকে। ৯ অক্টোবর প্রথম দিন কেবল সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পুলিশের সতর্কবার্তাকে পাত্তা দেননি লিন। পরের দিন আবারও বিকিনি পরেই বাইরে বের হন তিনি। এরপর ১০ অক্টোবর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মালয় পুলিশ প্রধান মেজর জেস বেলন জানিয়েছেন, ‘অশ্লীল’ ছবি প্রকাশ করায় লিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষগুলো যেন তাঁদের অতিথিদের যথাযথ পোশাকবিধি সম্পর্কে অবগত করে, সে বিষয়ে হোটেল মালিকদের অনুরোধও জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
দণ্ডপ্রাপ্ত পর্যটক লিন অবশ্য বলছেন, তাইওয়ানে এই পোশাক পরা স্বাভাবিক একটি বিষয়। জবাবে মেজর জেস বেলনের বক্তব্য, ‘তাঁদের সংস্কৃতি আর আমাদের দেশের সংস্কৃতি এক নয়। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তাঁদের সম্মান করা উচিত।’
লিনকে অবশ্য দীর্ঘ সময় কারাবাস করতে হচ্ছে না। আগামী শুক্রবারই প্রেমিকের সঙ্গে দেশে ফিরতে পারবেন তিনি.