নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তির একসঙ্গে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। কিন্তু তিনি নিয়ম না মেনে দায়িত্ব পালন করে গেছেন দুটি প্রতিষ্ঠানেই। দেড় যুগ ধরে এভাবে প্রতারণা চালিয়ে আসা এ ব্যক্তির নাম মো. রফিকুল ইসলাম।
এই অভিযোগে গতকাল রোববার তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ তে মামলা করা হয়েছে। পরে দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের বাদামতলী মোড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলাটি করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২–এর উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী। তাঁর করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম ২০০০ সালের ২৯ অক্টোবর লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়ন পরিষদে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু সেখান থেকে অব্যাহতি না নিয়ে ২০০১ সালের ২৯ আগস্ট আনোয়ারা সরস্বতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি মীরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং আনোয়ারার উত্তর বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সচিবের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। সচিব পদে নিজেকে কর্মরত দেখিয়ে তিনি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬৫ টাকা উত্তোলন করেন।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, রফিকুল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে মো. আবু তাহের নামের এক নিকট আত্মীয়কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বলেন, গ্রেপ্তারের পর রফিকুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।