স্বনামধন্য ট্রাভেল এজেন্সি ইউবিক ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস্-এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাহমুদুল হক মামুন চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিনের শ্রমসাধনা ও মেধার সাহায্যে ইউবিক ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসকে একটি শক্ত ভিত্তির উপরে দাড় করাতে সক্ষম হয়েছেন। জনাব মামুন ১৯৯৪ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। জনাব মোজাম্মেল হক কাজীর ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক অল্প বয়স থেকেই ছিলেন দায়িত্ব সচেতন। সেই দায়িত্বের অনুভূতি থেকেই দেশ এবং দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যতসহ দেশের টিকেটিং ব্যবস্থা ও ট্যুরিজম শিল্পের নানাদিক নিয়ে মাসিক হিমালয় তার মুখোমুখি হয়। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন হিমালয়ের নির্বাহী সম্পাদক এমএম রহমাতুল্লাহ।
মাসিক হিমালয়ঃ জনাব মামুন, আপনার এ পেশায় আশার আগ্রহের কারণটা বলবেন কি?
মাহমুদুল হক মামুনঃ খুব একটা চিন্তা ভাবনা করে এ পেশায় আসিনি। তবে স্টাডি শেষে যখন বিদেশ যাওয়ার চিন্তা করি, আমার প্রবাসী এক কাজিন ট্যুরিজমের উপরে একটা কোর্স করতে বললেন। কোর্স শেষে একটা প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক পদে কিছুদিন জব করি। সেখানে কাজ করতে গিয়েই ট্যুরিজম ও ট্রাভেল পেশার প্রতি ভাললাগা ও ভালবাসা। অবশেষে এ ব্যবসায় আগমন।
মাসিক হিমালয়ঃ এ পেশার পূর্বে অন্য কোন পেশায় ছিলেন কি?
মাহমুদুল হক মামুনঃ ট্রাভেল এজেন্সীতে কাজের পূর্বে আমি অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালসে কিছুদিন জব করেছিলাম।
মাসিক হিমালয়ঃ বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ কেমন?
মাহমুদুল হক মামুনঃ বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল বলে আমি মনে করি। হিউজ অপরচুনিটি আছে। বর্তমানে কোন ছুটিতে টিকিট খুঁজতে গিয়ে আমরা প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়ে যাই। এমনকি ছুটির সময়ে দেশের বাহিরে যেতে চাইলেও আগেভাগে টিকিট বুকিং দিয়ে রাখতে হয়।
মাসিক হিমালয়ঃ আমাদের দেশে আশানুরূপ ইনবাউন্ড ট্যুর হচ্ছেনা কেন?
মাহমুদুল হক মামুনঃ এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা ছাড়াও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব আছে বলে আমার মনে হয়।