দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেডের (ডিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হারুন অর রশীদ বলেছেন, গত ১৫ বছরে নয়া দিগন্ত পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। পেশাদারিত্বের কারণে পত্রিকাটি বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় তিনটি পত্রিকার মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। সারাদেশের জেলা প্রতিনিধিদের এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পত্রিকাটি প্রতিটি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সবাইকে আরো প্রচেষ্টা চালাতে হবে। শনিবার নয়া দিগন্তের বার্তাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএমসিএল এর টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর আব্দুল মালেক চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সাদেক ভুঁইয়া, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর, ডেপুটি এডিটর (নিউজ) মাসুমুর রহমান খলিলী, অ্যাডিশনাল নিউজ এডিটর মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, সিটি এডিটর আবু সালেহ আকন, চিফ রিপোর্টার হারুন জামিল, মফস্বল সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র জিএম (মার্কেটিং) সাইফুল হক সিদ্দিকী, সার্কুলেশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।কাজী হারুন অর রশীদ বলেন, নয়া দিগন্ত একটি পাঠকপ্রিয় পত্রিকা। দেশ ও জনগণকে ভালোবেসে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিকূলতা থাকলেও আমরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছি। সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্যই পত্রিকাটি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। পাঠকরা ভালোবেসে নয়াদিগন্তকে গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা শুধু সাংবাদিকতা করছেন না, সমাজ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছেন। পত্রিকার উন্নয়নেও তাদেরকে আরো ভুমিকা রাখতে হবে। আব্দুস সাদেক ভুইয়া বলেন, দেশ ও মানুষের কথা বলতে নয়া দিগন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান প্রতিকূল সময়েও পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বাড়ছে। সবার প্রচেষ্টার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। নয়া দিগন্তকে সামনে এগিয়ে নিতে সবাইকে আরো নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, নয়া দিগন্ত সব সময় সবার কথা বলে। পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে। আমরা কাউকে শত্রু ভাবি না। কেউ আমাদের শত্রু ভাবুক সেটাও আশা করি না। এজন্য জেলা প্রতিনিধিরা সবার খবর পাঠাবেন। সব মত-পথের সংবাদই নয়া দিগন্তে প্রকাশ করা হবে। সালাহউদ্দিন বাবর বলেন, নয়া দিগন্ত একটি পাঠক প্রিয় পত্রিকা। এটি কিভাবে পাঠকদের কাছে আরো জনপ্রিয় করা যায় সেজন্য প্রচেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রতিনিধিরা অগ্রসৈনিকের ভুমিকা পালন করছেন। আগামীতে তারা আরো পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করবেন বলে আমরা এ প্রত্যাশা করি।
মাসুমুর রহমান খলিলী বলেন, আমাদের পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আমাদের সব প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নয়া দিগন্তকে পাঠকের কাছে আরো আকর্ষণীয় ও জননন্দিত করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে জেলা প্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে।