হিমালয় রিপোর্টঃ বর্তমানে ভারতে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন বাংলাদেশি পর্যটকেরা। ২০১৬ সালে প্রায় ১৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি ভারত ভ্রমণে গেছেন, যা ২০১৫ সালের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগের বছর ভারতে পর্যটক পরিসংখ্যানে এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সালে পর্যটক তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, এর পরেই আছে যুক্তরাজ্য। আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসা, ব্যবসা ও কেনাকাটাসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভারত ভ্রমণে গেছেন।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে দিন দিনই বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। ২০১২ সালে ভারতে বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ লাখ ৮০ হাজার, যা ২০১৬ সালে এসে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মোট পর্যটকের প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশই ভারত ভ্রমণে যান। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের মোট পর্যটকের সাড়ে ১৪ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের সাড়ে ৯ শতাংশ ভারত ভ্রমণে যান।
চিকিৎসা, ব্যবসা ও কেনাকাটার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশিরা ভারত ভ্রমণ বেশি করেন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৪ জনকে চিকিৎসা ভিসা দেয় ভারত, যার অর্ধেকই ছিলেন বাংলাদেশি। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা আরও বেশি।
পর্যটন খাতের মাধ্যমে ২০১৬ সালে ভারতের আয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা ২০১৫ সালের চেয়ে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। মূলত বেশিরভাগ বাংলাদেশি পর্যটকেরা যান ভারতের কলকাতা শহরে।
পর্যটন শিল্পে ভারতের আয় বাড়ল ১৭.৯ শতাংশ
এদিকে অন্য একটি সুত্র নিশ্চিত করে, ২০১৮ র মার্চে ভারতে বিদেশি মুদ্রায় আয় বেড়েছে ১৭.৯ শতাংশ ৷ প্রতি মাসে পর্যটন মন্ত্রক বিপুল পরিমান ভারতীয় এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে৷ ২০১৮ তে ভারতের পর্যটন মন্ত্রকের বিদেশি মু্দ্রায় আয়ের পরিমাণ ছিল ১৭,২৯৪ কোটি টাকা৷ গত দুই বছরে আয় ছিল যথাক্রমে ১৪,৬৬৭ কোটি এবং ১২,৯৮৫ কোটি ৷ সুতরাং, দেখাই যাচ্ছে ভারতীয় পর্যটন শিল্প একটি নতুন আকারে আত্মপ্রকাশ করেছে৷
২০১৮ জানুয়ারী-মার্চে বিদেশি মুদ্রা ৫২,৯১৬ কোটি, যেখানে বৃদ্ধি ছিল ১৫.৫ শতাংশ৷ ২০১৭ সালে জানুয়ারী-মার্চে FEEs ছিল ৪৫, ৮১৯ কোটি৷ বৃদ্ধি ছিল ১৩.৬ শতাংশ ২০১৬ র জানুয়ারী-মার্চের তুলনায়৷
বাস্তবে একটি দেশকে যত বেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করা যাবে ততই তারা ভ্রমণের স্বাদ নিতে ছুটে আসবে সেই দেশে৷ আর তারই জেরে সেদেশের রাজকোষে জমা পড়বে বিদেশি মুদ্রা৷