হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সৈয়দা লুৎফুনন্নেসা (৭২) নামে এক মহিলা যাত্রী মারা গেছেন। ঘটনাটি ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দুপুরের দিকে ঘটে।
বিমানের বলাকা ভবন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে বিমানের লন্ডনগামী ফ্লাইটটি (বিজি-০০১) ঢাকা ত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ ঘণ্টা বিলম্বে দুপুর ১২টায় ঢাকা ত্যাগ করে যায়। ফ্লাইটটি যখন তুর্কিমেনিস্তানের আকাশে ছিল তখন হঠাৎ এক নারীযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কিছুক্ষণ পরই ওই যাত্রী উড়োজাহাজের ভেতরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ওই অবস্থায় বিমানের পাইলট ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় (বিকেল সাড়ে ৫টা) লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করান। নিয়মানুযায়ী পরদিন ঢাকা থেকে হিথ্রোর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিামনের অপর একটি ফ্লাইটে মারা যাওয়া যাত্রীর লাশ ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু গতকাল সোমবার পর্যন্ত তার লাশ দেশে আসেনি।
এ প্রসঙ্গে গতকাল রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ লন্ডনে বাংলাদেশ বিমানের স্টেশনে খোঁজ নিয়ে নয়া দিগন্তকে বলেন, ওই যাত্রীর নাম সৈয়দা লুৎফুন্নেসা। তার পাসপোর্ট এর তারিখ অনুযায়ী জন্ম ১৯৪৭ সাল। সেই মোতাবেক তার বয়স ৭২ বছর। কিভাবে মারা গেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রী ব্রিটিশ নাগরিক। তাই তার লাশ লন্ডনেই রয়ে গেছে। তবে যেহেতু বিমানের ভেতরে যাত্রী মারা গেছেন তাই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তার মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। তবে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে।