অনুমতি না নিয়ে বাড়িতে খেতে যাওয়ার অপরাধে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন দুই শিক্ষক। শেরপুরে গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী এখন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম মো. আবু ইউসুফ (১৩)। সে শেরপুরের সদর উপজেলার মুকসুদপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। চরমোচারিয়া পুরানপাড়া গ্রামের মো. অন্তর আলীর ছেলে ইউসুফ।
ইউসুফের চাচা মো. সোহেল মিয়া বাদী হয়ে মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আজ শনিবার সদর থানায় মামলা করেছেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মুকসুদপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. এহছানুল হককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার শিক্ষক এহছানুলকে শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছেন, ইউসুফকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার এহছানুল হক।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মুকসুদপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষকদের অনুমতি না নিয়ে খাওয়ার জন্য মাদ্রাসা থেকে কিছুটা দূরে গ্রামের বাড়িতে যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় ফিরে আসে সে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে মাদ্রাসাশিক্ষক আজিত মাওলানা ও এহছানুল হক শিক্ষার্থী আবু ইউসুফকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন। এতে ইউসুফ গুরুতর আহত হয়। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন মাদ্রাসায় এসে ইউসুফকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আহত ইউসুফের চাচা সোহেল মিয়া বাদী হয়ে মাদ্রাসাশিক্ষক আজিত মাওলানা ও এহছানুল হকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এহছানুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামি আজিত মাওলানা পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।