মোহাম্মদ আলী ও রুমানা খাতুন রুমি। একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন গত ২২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার। নতুন সংসার আর চোখে নতুন স্বপ্ন। কিন্তু বাস্তবে আর তা কিছুই হল না। হাতের মেহেদীর রং শুকানোর আগেই একই রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন এই নবদম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের ধরিণধরা এলাকার ফজলুর রহমানের ভাড়াবাড়িতে। এই বাড়িরই একটি কক্ষ থেকে সোমবার এই নবদম্পতি স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। নিহত মোহাম্মদ আলী (২২) সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার চরগিরিস গ্রামের গোলাম মাওলার ছেলে ও তার স্ত্রী রুমানা খাতুন রুমি (১৬) একই থানার সালানচর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
নিহত মোহাম্মদ আলী সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র এবং স্ত্রী রুমানা খাতুন রুমি সাভারের হেমায়েতপুর হরিণধরা এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের গামের্ন্টস কারখানায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সূত্রধরে তারা দুইজন সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে বাসা ভাড়া করে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার স্থানীয় এক কাজীর মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তারা ভাড়া বাসায় নতুন সংসার শুরু করে। এদিকে তাদের বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় উভয়ের পরিবার। এরপরই সোমবার বিকেল ৩টায় সময় সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকার ফজলু মিয়ার ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষের ভিতরে ঘরের আড়ার সাথে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় এই নবদম্পতির লাশ দেখতে পায় বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা। বিষয়টি সাভার মডেল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সাভার মডেল থানা ও ট্যানারী ফাঁড়ি ইনচার্জ (পরিদর্শক) গোলাম নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা উভয়ে একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু ছেলের পরিবার তাদের এই বিয়ে মেনে না নিলে তারা আত্মহত্যা করে।