জাহাঙ্গীর আলম শোভন
১. ভ্রমণ বিষয়ক লেখা লিখার জন্য আপনার নিজের ভ্রমনের অভ্যাস থাকা চাই।
২. ভ্রমণ বিষয়ক লেখা লিখার আগে আপনি কিছু এ বিষয়ক লেখা পড়ে নিতে ভুলবেন না।
৩. ভ্রমন বিষয়ক লেখা সাধারণত উত্তম পুরুষে লেখা হয়ে থাকে। এতে ঘটনার বিশ্বস্থতা তৈরী হয়।
৪. ভ্রমনসাহিত্য গল্প নাটক উপন্যাসের মতো আলাদা একটা শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৫. ভ্রমন বিষয়ক লেখা সাধারণত যেকোন একটি পর্যটন স্পট নিয়ে হয়ে থাকে।
৬. পাঠকের সুবিধার জন্য ধারাবাহিক ভাবে ভ্রমণকাহিনী লিখতে হয়।
৭. ভালো বোজার জন্য ভ্রমনের সময় স্থান ভালোভাবে শুরুতেই উল্লেখ করতে হবে।
৮. ভ্রমন গল্পের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তথ্য, সংশ্লিষ্ট তথ্য দিতে মোটেও পিছপা হবেন না।
৯. যে দেশ বা সময় নিয়ে লিখবেন সে বিষয়ে লেখার আগে একটু জেনে নেবেন।
১০. বিশেষ করে সে এলাকার জনসংখ্যা, মানুষের পেশা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবহাওয়া, এলাকাটা কিজন্য বিখ্যাত, এলাকার অতীত, বর্তমান ভবিষ্যত, সুবিধা, অসুািবধা ইত্যাদি জানানো দরকার।
১১. খুব জটিল ভাষায় লেখার দরকার নেই। সাবলীল ও গতিশীল ভাষা হওয়া চাই।
১২. গান কবিতা প্রবাদ কথায় কথায় কথায় এসব রেফারেন্স দিতে পারেন।
১৩. ভ্রমণকাহিনীতে রস থাকা খুব জররী, প্রয়োজনে কিছুটা রম্যভাব থাকতে পারে।
১৪. কোনো এলাকার মানুষে তাদের সংস্কৃতি বিশ্বাস ও আচারকে হেয় করে কোনো কিছু লিখবেন না।
১৫. পজেটিভ বিষয়গুলো বড়ো করে লিখবেন। বিশেষকরে দেশীয় কোনো টুরিস্ট স্পট নিয়ে।
১৬. কোনো ঝুকিপূর্ন ব্যাপার থাকলে পাঠককে সর্তক করতে ভুলবেন না।
১৭. স্পটে যাতায়াত, ভাড়া, খাবার, পরিবহন, সময় ইত্যাদি তথ্য যাচাই করে দেবেন।
১৮. আপনি যখন ভ্রমন করেছেন তখন যদি না লিখে পরে লিখে থাকেন , তাহলে আপডেটেড তথ্য ব্যবহার করবেন।
১৯. ভ্রমনে যাওয়ার সময় কাগজ কলম ক্যামরা ব্যাটারি চার্জার এগুলো রেখে নোট করতে ভুলবেন ন।
২০. স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেবেন। সরকারী অফিস থেকেও জেনে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় তথ্য।
২১. লেখা প্রকাশ করার আগে তথ্যগুলো যাচাই করে নেবেন।
২২. দেশীয় কোনো স্পট নিয়ে লিখলে, ভালো লিখা হলে সেটা অনুবাদ করে বিভিন্ন ব্লগে দিতে পারেন।
২৩. ছবি তোলার সময় সঠিকভাবে উঠছে কিনা খেয়াল রাখুন। নিজেকে হাইলাইট করার চেয়ে স্পট বা স্পটের মূল ফোকাসকে হাইলাইট করে ছবি তুলুন।
২৪. ছবির পাশাপাশি ভিডিও করতে পারেন। এবং ভিডিও এডিট করে লেখার সাথে দিতে পারেন।
২৫. নিজের ভিডিও না থাকলে অন্যকোন ভিডিও নেটে থাকলে তার লিংক শেয়ার করুন।
২৬. পর্যটন রিলেটেড সংস্থার নাম্বার ঠিকানা শেয়ার করতে পারেন। যেমন হোটেল, পরিবহন, এয়ার ইত্যাদি।
২৭. লেখার মধ্যে একটা গল্পময়তা বজায় রাখার চেস্টা করুন।
২৮. ছোট ছোট ঘটনা, গল্প, ন্মৃতি, স্মরনীয় বিষয় কথায় কথায় তুলে ধরতে ভুলবেন না।
২৯. যেসব তথ্য উল্লেখ করবেন, লেখার শেষে সেগুলো সূত্র দেখিয়ে দেবন। এতে লেখার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
৩০. ভ্রমণসাহিত্য মানূষ বিনোদনের জন্য ও জানার জন্য পড়ে, এতে নিজের চিন্তা বা আদর্শ জাহির করতে যাবেন না।
৩১. এ ধরনের লেখায় রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেস্টা করবেন।
৩২. আপনি যে স্পট নিয়ে লিখলেন। তার সমস্যার কথা যদি লিখে থাকেন। তাহলে পাঠককে তার মোকাবেলায় বিকল্প পরার্র্শ দেয়ার চেস্টা করবেন।
৩৩. আপনার যদি কোনো ভ্রমন গাইড েথাকে ২/১বার তাকে উল্লেখ বা উদ্বিৃত করতে পারেন।
৩৪. সে দেশে বা এলাকায় কোন বিশিস্ঠ ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করলে সেটা দুই এক কথায় তুলে ধরুন।
৩৫. সেখানকার কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা থাকলে সেটাও সংক্ষেপে ব্যক্ত করুন।
৩৬. যদি এলাকাটা ঐতিহাসিক স্পট হয় তাহলে এতিহাসের যতটা সমভব পাঠকের সাথে শেয়ার করবেন।
৩৬. যদি ধর্য়মীয় তীর্থস্থান হয় তাহলে সেখানকার সম্পশকাতরতা সম্পর্ জেনে নেবেন।
৩৭. সরকারী সংরক্ষিত এলাকা হলে তার নিয়ম কানুনের প্রতি সতর্ ক থাকবেন।
৩৮. স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও তাদের জীবনকে আপনার কলম ও ছবিতে তুলে আনবেন।
৩৯, এখানকার মানুষের জিীবন, পোষাক ও খাবারের ব্যাপারে তথ্যও তুলে ধরবেন।
৪০. একজন টুরিস্ট এর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যেন বাদ না যায়, সেটা খেয়াল রাখবেন।