রাজধানীর ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের মৃত্যু শ্বাসরোধে হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের এসব দিক তুলে ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে আমরা দেখতে পাই, মৃত নারীর ঠোঁটে, মুখে, আঙুলে ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটা আঙুল ভাঙা ছিল। তাকে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড একজনের পক্ষে সম্ভব না। একাধিক ব্যক্তি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।’ আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সাংবাদিকদের ময়নাতদন্তের ব্যাপারে অবহিত করেন চিকিৎসক।
সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সুকন্যা টাওয়ারের ১৬/সি নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন মাহফুজা চৌধুরী পারভীন। তিনি সত্তরের দশকের ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহসভাপতি ইসমত কাদির গামার স্ত্রী। গতকাল রাত ৮টায় বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকেই ওই বাসায় কর্মরত দুই গৃহকর্মী রেশমা (৩০) ও স্বপ্না (৩৬) নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশের ধারণা, তারাই মাহফুজা চৌধুরীকে হত্যা করে পালিয়েছে। গতকাল রাতেই তাদের দুজনকে আসামি করে মামলা করেন ইসমত কাদির গামা।