ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রার্থী হিসেবে আতিকুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মনোনয়ন দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ৪৩তম কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একইদিনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জ-১ আসনের পুনঃনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা এ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে অংশ নেন।বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত থাকার পর গত মঙ্গলবার আবারও তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচন হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করলেও বিএনপি এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ করে ইসিতে তারা চিঠি দিয়েছে। কিন্তু সরকার বা ইসির কাছ থেকে কোনো সাড়া তারা পায়নি। তবে বিএনপির এই সূত্র আগেই জানিয়ে ছিলো, জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে ‘মিনিমাম’ কোনো সুরাহা না হলে সামনের কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সরকার বা ইসি থেকে অভিযোগগুলোর ব্যাপারে অন্তত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি হবে বলে মনে করে দলটির নেতারা।