সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী মেয়ে ফেলানী হত্যার আট বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। তবে সে ঘটনার বিচার এখনো শেষ হয়নি। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের নির্মমতার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী। জানা যায়, ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানী।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অহরহ ঘটলেও তা খুব একটা আলোচনায় আসেনি আগে। তবে কাঁটাতারে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকার দৃশ্য দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে উঠে এলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। তবে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। এরপর ২০১৫ সালে ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন বাবা নুরুল ইসলাম।