চা এর রাজধানী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল খুব সহজেই কম খরচে একদিনের ট্যুর দেওয়া যাবে মোটামুটি ১৫০০/২০০০ টাকার মধ্যে সম্ভব। বাসে সায়দাবাদ থেকে সরাসরি শ্রীমঙ্গল এর বাস রুপসী বাংলা বা হানিফে করে রাত ১১-১১.৩০ এ যাত্রা শুরু করলে শ্রীমঙ্গল ভোর ৪-৫ টার মধ্যে পৌঁছাতে পারবেন। চাইলে রাতের সিলেটগামী উপবন ট্রেনে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে ভোরে নামবেন শ্রীমঙ্গল। সকাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে পানসী হোটেলে সকালের নাস্তা করে সি.এন.জি রিজার্ভ করে শুরু করেতে পারেন ভ্রমণ খুব সকাল সকাল যাবেন লাউয়াছরা জাতীয় উদ্যান। যেখানে দেখা পেতে পারেন বানর হনুমান বনে ট্রেকিং করে সরাসরি চলে যাবেন মাধবপুর লেক চারদিকে চা বাগান এর মধ্যে অসাধারণ পরিষ্কার পানির লেক, এখানে দেখা মিলবে দুষ্প্রাপ শাপলা যেখানে চাইলে গোসল করা যাবে। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে নুরজাহান চা বাগান এর ভিতর দিয়ে শহর এর দিকে আসবেন অসাধারণ চা বাগান নুরজাহান চা বাগান দুইপাশে উঁচু পাহাড়ে বাগান মধ্যে দিয়ে শান্ত রাস্তা বাগান এর শেষ দিকে পাবেন আনারস বাগান লেবু বাগান ভাগ্য ভালো থাকলে সরাসরি বাগান থেকে আনারস লেবু কিনতে পারবেন এরপর শহরে এসে দুপুরের খাওয়া পানসী হোটেলে শেষ করে চলে যেতে পারেন। সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা বিকেলে নীলকন্ঠ চা কেবিনে সাত রঙ এর চা আমারা অবশ্য পাঁচজন দেখার জন্য এক কাপ নিয়েছিলাম ওদের লেবু চা ভালো লেগেছিলো বেশি সাত রঙ থেকে সাথে পেয়ে যাবেন চা গবেষনা ইনস্টিটিউট তারপর বিকেল পাঁচটার ট্রেনে সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা, আসার যাত্রাপথ আপনি দেখতে পাবেন ট্রেন থেকে দুইপাশের চা বাগান লেবুগাছ এর সমারোহ। শ্রীমঙ্গল অবশ্যই পানসী তে খাবেন অসাধারণ খাবার কম দামে, আর আসার সময় রেলস্টেশন এর সামনে থেকে দোকান গুলো থেকে চা কিনে নিতে পারেন শ্রীমঙ্গল এর স্মৃতী হিসেবে, রাত ১০-১১ টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ঢাকা। বর্ষাতে অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠে শ্রীমঙ্গল এর সৌন্দর্য একদিন বর্ষার দিন হয়ে উঠতেপারে অসাধারণ উপভোগ্য। সি.এন.জি রিজার্ভ করে নিলে সারাদিনের জন্য ড্রাইভারই আপনাকে সব ঘুরিয়ে দেখাবে, আপনি যেভাবে বলবেন। সময় করতে পারলে এবং কেউ চাইলে বিভিন্ন স্পট এবং গলফ ক্লাবে যেতে পারেন।